চিকিৎসকের ধর্ষণ খুন এর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তৎপরতার সাথেই দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নির্যাতিতার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে ময়নাতদন্তের পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট।
এই পোস্টমর্টম রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুনী পড়ুয়া চিকিৎসকের ? কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁর দেহ ? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় ওই চিকিৎককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। মৃত চিকিৎসকের শরীরের একাধিক হাড় ভাঙার যে সব কথা উঠে আসছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমন হাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ নেই।
তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। গলা, মাথা,ঠোঁট, নাক, চিনুক,ডান চোয়াল , বাঁ হাত , বাঁ কাঁধ, বাঁ হাটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল। এছাড়াও চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধেছিল।
এবং তাঁর শরীরের বেশকিছু অংশেও রক্ত জমাট বেঁধেছিল বলে এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল নির্যাতিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছে। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর পরিবার যে পিটিশন দায়ের করেছিল সেখানেও এই বিষয়টির উল্লেখ করা ছিল।
ময়না তদন্ত রিপোর্টে তবে সিমেন সংক্রান্ত কোনো কিছু উল্লেখ নেই।রিপোর্টে ‘এক্সটান্যাল এবং ও ইন্টারন্যাল জেনেটালিয়া’ কলমে লেখা হয়েছে, ওজন ১৫১ গ্রাম।
প্রসঙ্গত ময়না তদন্তে রিপোর্টের নিয়ম মেনে দেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
+ There are no comments
Add yours