অরুণাচলে আগ্রাসী চিন, লালফৌজের রসদ পৌঁছতে সীমান্তে হেলিপোর্ট! প্রকাশ্যে উপগ্রহচিত্র
#Arunachal#ChinaAggression#HeliportConstruction#SatelliteImages#IndoChinaBorder#MilitaryStrategy#Ladakh#PangongLake#CurrentAffairs#geopolitics#asianews#asianewslive#indian#army
ফের অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসন! এবার সংবেদনশীল ‘ফিশটেল’ অঞ্চলের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে চিনা হেলিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সেই উপগ্রহচিত্র। এর ফলে ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর প্রত্যন্ত অঞ্চলে লালফৌজকে দ্রুত সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে কৌশলগত দিক থেকে অস্বস্তিতে পড়বে ভারতীয় সেনা।উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, হেলপোর্টটি তৈরি হয়েছে গংরিগাবু কু নদীর তীরে। তিব্বতের স্বায়ত্তশাসন অঞ্চলের নিংচি প্রিফেকচারে। যদিও ওই এলাকা চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। গত এক বছরের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে ২০২৩-এর ১ ডিসেম্বরেও ওই অঞ্চলে কোনও ধরনের নির্মাণ ছিল না। ৩১ ডিসেম্বর পরবর্তী উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট জমি পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বরের ছবিতে দেখা গিয়েছে, হেলিপোর্ট নির্মাণ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়েছে।
একদিকে যখন অরুণাচল সীমান্তে ড্রাগনের বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে লাদাখে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশ জুড়ে পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু তৈরি করে ফেলেছে চিন। ৪০০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছে লালফৌজ। রীতিমতো হালকা ওজনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে ওই সেতুর উপর দিয়ে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সাল থেকেই প্যাংগং হ্রদের এই অংশ চিনা দখলে। সব মিলিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ইন্দো-চিন সীমান্তে।
নির্মীয়মান হেলিপোর্টটিতে ৬০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। সেখান থেকেই ওঠানামা করবে হেলিকপ্টার, যা উঁচু পার্বত্য এলাকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বেশি ওজনের সরঞ্জামও ওঠানামা করতে পারবে সেখানে। হেলিপোর্টে কমপক্ষে তিনটি হ্যাঙ্গারও দেখা গিয়েছে, একটি অ্যাপ্রন এলাকা, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল পরিষেবা এবং একাধিক ভবনও রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours