ইসকন সংক্রান্ত অভিযোগে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড পড়ুয়া
ইসকন সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষার্থী আইন বিভাগের ছাত্র। চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এবং অভিযোগ উঠেছে যে সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষার্থী ঘটনার সময় চট্টগ্রাম আদালতের সামনে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করার দাবি জানান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশে কট্টরপন্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে। জুলাই মাসে ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হন। সারজিস আলম সম্প্রতি চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমাবেশে ভাষণ দেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যেখানে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। পরে, ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, এবং পরে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের পর অভিযোগ উঠেছে যে চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কয়েক হাজার হিন্দু রাস্তায় নেমে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানান। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতের বাইরে প্রতিবাদকারী হিন্দুদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, এবং এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর পুলিশ ৮ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে