এই সব শুধু আইওয়াশ হচ্ছে’ দূষণ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
দূষণ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের । আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে আতশবাজি বিক্রি আর পোড়ানো বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, দীপাবলির পরেও আতশবাজি ফাটানো হয়েছে। কোনও ধর্মই দূষণকে উৎসাহিত করে না। সোমবার বিচারপতির এস ওকা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ দিল্লিতে গোটা বছর ধরে চলা দূষণ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে।
আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লি সরকারকেস্থায়ীভাবে বাজি নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, দূষণ থেকে রাজ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ধোঁয়া থেকে বের হওয়া বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরে প্রভাব ফেলছে।
কোর্ট আরও বলেছে, প্রতি বছরই দীপাবলির সময় আতশবাজির কারণে শহরে দূষণ বাড়ে। গত সপ্তাহেই দিল্লি সরকার ও পুলিশকে যার প্রত্যেকটি বিষয় আদালতকে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল কেন তারা আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে? প্রতি বছর দীপাবলির আগে এই নির্দেশ জারি করা হয়, কিন্তু কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই।
এদিন দিল্লি পুলিশের তরফে একটি হলফনামা দাখিল করে, তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে। আদালত উল্লেখ করেছে, যে নিষেধাজ্ঞাটি আগে দেওয়া হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন, নির্দেশের কোনও প্রভাব পড়েনি। আদালত তীব্র তিরস্কার করে বলে, নির্দেশিকা দেওয়ার পরেও দিল্লি এনসিআর-এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়নি। শুধু কিছুমাত্র কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেই তারা ক্ষান্ত থেকেছে, সবই আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছে যে বাজি নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা যখন আগে থেকেই জারি করা হয়েছিল, তাহলে সেটা কার্যকর করার জন্য কেন ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করল দিল্লি সরকার? বিচারপতি ওকা এবং বিচারপতি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি যাতে ঠিকমতো কার্যকর করা যায়, সেজন্য স্পেশাল সেল গঠন করার নির্দেশ দিচ্ছি দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে।
সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটি হলফনামা আকারে দিল্লি পুলিশকে আদালতে জমা দিতে হবে। রাজধানীতে চিরকালের জন্য আতশবাজি বন্ধ করা হবে কিনা সেই নিয়ে দিল্লি সরকার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসুক। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।