কংগ্রেসের ইতিহাসে মমতাকে বহিষ্কারের ঐতিহাসিক ভুল: প্রদীপ ভট্টাচার্যের আক্ষেপ
তিন দশক পেরিয়ে গেলেও কংগ্রেসের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এখনো একটি ভুল হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৯৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালীন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কংগ্রেসের প্রবীন নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য শনিবার একটি অনুষ্ঠানে সেদিনের সিদ্ধান্তের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, “সেদিন মমতাকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। আজও সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।”কংগ্রেসের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, সীতারাম কেশরী এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। তবে, সেই অধিবেশন থেকে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিলেন মমতা, যিনি তখন নিজের কর্মীসভা নিয়ে বাইরে ছিলেন। তার জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে পৌঁছেছিল। কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের কাছে মমতা ও সোমেন মিত্রের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার চাপে, সীতারাম কেশরী সোমেন মিত্রকেই বেছে নিয়েছিলেন। এর পরেই, ২২ ডিসেম্বর মমতা ঘোষণা করেন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত। এই সময়ের মধ্যেই কংগ্রেস তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।প্রদীপ ভট্টাচার্য আরও বলেন, “সোমেনের উপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তার ফলস্বরূপ মমতাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু সেটা ছিল ঐতিহাসিক ভুল, যার খেসারত আজও কংগ্রেসকে দিতে হচ্ছে।” তিনি বলেন, “সোমেনদার ফোনে সীতারাম কেশরী তাঁকে মমতাকে বহিষ্কার করার জন্য বলেছিলেন, কিন্তু আমি তাঁকে বলেছিলাম, কিছুতেই তা করতে হবে না। তবে, চাপের মধ্যে সোমেন বাধ্য হন এই সিদ্ধান্ত নিতে।”এখন, এই ঘটনা কংগ্রেসের জন্য একটি মর্মন্তুদ অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কীভাবে পাল্টাবে তা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত।