কবে থেকে বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়বে, আগাম পূর্বাভাস হাওয়া দপ্তরের
নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই বঙ্গে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে শুরু হতে থাকে। কিন্তু প্রকৃত শীতের স্পষ্ট অনুভূতি সাধারণত মাসের মধ্যভাগ থেকে শেষের দিকে দেখা যায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে বঙ্গে শীতের আগমন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে,
নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট আরও বাড়তে পারে। উত্তরে হাওয়া, অর্থাৎ উত্তরের দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া ঠাণ্ডা বাতাস শীতের মূল ধারক। সাধারণত, যখন উত্তরে হাওয়া শক্তিশালী হতে শুরু করে, তখনই তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। চলতি বছরে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তরে হাওয়ার প্রবাহ বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে, যা শীতের আবহ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এমন পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকেই এই নিম্নচাপ দানা বাঁধতে পারে। নিম্নচাপ তৈরি হলে তার প্রভাব মূলত বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেখা যায়, যা শীতের প্রভাবকে কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে। তবে, আপাতত হাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে তারা এই নিম্নচাপের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখবে।নভেম্বর মাসের শেষে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নামতে শুরু করবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। ফলে রাজ্যজুড়ে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তরে হাওয়া বঙ্গে শীত নিয়ে আসে। এই হাওয়া মূলত উত্তর ভারত ও হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসে এবং এটাই বঙ্গে শীতল আবহাওয়া সৃষ্টি করে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই হাওয়ার শক্তি বাড়তে শুরু করলে রাতের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতের আবহ স্পষ্ট হতে শুরু করে।