কলকাতায় ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব: হরিদেবপুরে বন্দুকের মহল, আতঙ্কিত স্থানীয়রা
কলকাতার *হরিদেবপুর* এলাকায় ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। *ক্রিকেট টুর্নামেন্ট* চলাকালীন মাঠের পাশে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে তাণ্ডব শুরু হওয়ায়, স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। *হাতে বন্দুক নিয়ে স্থানীয়দের তাড়া* করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশে খবর দেওয়ার পর এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তবে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, *তারামণি ঘাট রোডের কাছে একটি মাঠে* ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। সেখানে *বাইরের দলের ক্রিকেটাররা* খেলতে এসেছিলেন। মাঠের পাশে তৎকালীন পরিস্থিতিতে কিছু ব্যক্তির মধ্যে বচসা শুরু হয়। *স্থানীয়দের দাবি,* এই ঝামেলা *পুরনো শত্রুতা* বা *টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে* হতে পারে। যদিও অনেকের দাবি, তারা ঝামেলায় জড়িত ব্যক্তিদের চেনেন না। এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী, মাঠে যখন খেলাধুলা চলছিল, তখন হঠাৎ *বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখানোর* মতো ঘটনাটি ঘটে। একদিকে শিশুদের উপস্থিতি, অন্যদিকে এমন গুরুতর ঘটনা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ঘটনার পর, *স্থানীয় জাগরণী সাংস্কৃতিক ক্লাব* পুলিশকে খবর দেয়, এবং তারা *সিসিটিভি ফুটেজ* সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।*হরিদেবপুর থানার পুলিশ* এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং *স্থানীয় সূত্রের তথ্য* সংগ্রহ করে পুলিশ এখন ঘটনার সঠিক কারণ এবং বন্দুকের মালিকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ বলছে, তারা দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং *নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে* কার্যকর পদক্ষেপ নিবে।এই ঘটনার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, মাঠে *অনেক বাচ্চা* আসার কারণে তাদের *নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বন্দুকের মহল, পুলিশে খবর দেওয়া এবং তদন্তের পাশাপাশি, এলাকার সাধারণ মানুষেরও মনে হচ্ছে যে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।এই ঘটনা কলকাতায় দুষ্কৃতী কার্যক্রমের **একাধিক ঘটনার মধ্যে* অন্যতম। কিছুদিন আগেই, *২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনের রাতে* গল্ফগ্রিন এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের শিকার হন এক কলেজ পড়ুয়া। ওই ঘটনায় পাঁচজন দুষ্কৃতী এক কলেজ পড়ুয়াকে *গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর* এবং *গাড়ি ভাঙচুর* করেছে। ওই তরুণের অভিযোগ, তার গা থেকে রড দিয়ে আক্রমণ করা হয়। *গল্ফগ্রিন থানায়* এই ঘটনায় *লিখিত অভিযোগ* দায়ের করা হয়েছে, এবং *সিসি ক্যামেরার ফুটেজ* দেখে পুলিশ তদন্ত করছে।