কোমাগাতা মারু এবং রাফলেসিয়া: ইতিহাস ও প্রকৃতির আশ্চর্য
একটি প্রশ্ন, যা বহু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসতে পারে, এমন কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য নিয়ে। ১৯১৪ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী গুরদিত সিং সান্ধু কানাডার কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এবং কলকাতা থেকে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কোমাগাতা মারু নামক জাপানি জাহাজে। এতে ৩৭৬ জন ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। তাদের গন্তব্য ছিল কানাডার ভ্যাঙ্কুভার, তবে সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালায়, যা পরবর্তীতে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে পরিণত হয়। এই ঘটনার সম্মানে ১৯৫২ সালে কোমাগাতা মারু শহিদদের জন্য একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়, যা উদ্বোধন করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। এছাড়া, ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কোমাগাতা মারুর শতবার্ষিকী উপলক্ষে দুটি বিশেষ মুদ্রা জারি করেছিল। ১৯৮৯ সালে ভ্যাঙ্কুভারের শিখ গুরুদ্বারে একটি ফলক স্থাপন করা হয় এবং ২০১৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বজবজ স্টেশনের নাম পাল্টে রাখে “কোমাগাতা মারু বজবজ স্টেশন”।এছাড়া, প্রকৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে, বিশ্বের বৃহত্তম ফুল হিসেবে রাফলেসিয়া পরিচিত। এটি ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায় এবং এর সাইজ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। রাফলেসিয়া তুয়ান-মুদাই ফুলটি রাফলেসিয়া পরিবারভুক্ত এবং এর গা dark লাল রঙের সঙ্গে সাদা ছোপ ছোপ দাগ থাকে