কাশ্মীরের গুলমার্গে এশিয়ার বৃহৎ ইগলু রেস্ট্রুরেন্ট
পৃথিবীর তুষারাবৃত দেশ গুলিতে ইস্কিমোরা বরফের তৈরি যে গুহায় বাস করে তাকে ইগলু বলে। বরফের ইগলু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। গম্বুজের মতো। ইগলু সাধারণভাবে এগুলোতে বসবাসকারী বাসিন্দারা প্রবেশদ্বার অত্যন্ত ছোট হওয়ার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করে ঘরে।
বরফের দেশে বসবাসকারী ইয়াস্কিমোদের ইগলু সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। ভারতের কাশ্মীরের গুলমার্গে ইগলু রেস্ট্রুরেন্ট সত্যিই বড়ো চমক।
ইগলুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের নিয়ে বিশ্ববাসীর মধ্যে সবারই কৌতূহল থাকে। তবে পর্যটকদের এই কৌতুহল মেটানোর জন্য সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগে ভারতের কাশ্মীরে নতুন ইগলু রেস্টুরেন্ট পর্যটক দের নজর টানবে। পর্যটকরা এখানে এসে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। খাবারের গুণগত মান ও ব্যাপক।
কাশ্মীরের গুলমার্গে তৈরি ভারতের প্রথম ইগলু রেস্তোরাঁর মালিক বলেন গুলমার্গের কোলহাই রিসোর্টের অধীনে আছে তাঁদের এই রেস্তোরাঁটি। যা এশিয়ার সব ইগলু রেস্তোরাঁর থেকে আকারে বড়। এর পুরোটাই বরফ দিয়ে তৈরি। আধুনিক রেস্তোরাঁর যাবতীয় সুযোগ সুবিধাই থাকবে ইগলু রেস্তোরাঁর মধ্যে।
এই রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পর মেন্যু কার্ড দেখে আপনি আপনার পছন্দের খাবার অর্ডার করবেন। এরপর সেই খাবার আপনার টেবিলে পরিবেশন করবে ওয়েটাররা। সুইজারল্যান্ডের যুরীকে ইগলু রেস্ট্রুরেন্ট।
ভেতরে চেয়ার, টেবিল সবই পুরু বরফ দিয়ে তৈরি। বাতাস চলাচলের জন্য দেয়ালে বরফ কেটে ছোট ছোট জানালা বসানো হয়েছে। রেস্তোরাঁর মধ্যে মোট ৪টি টেবিল আছে। যাতে সবসমেত ১৬ জনের বসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।
অনেকেই একথা ভাবতে পারেন বরফের ঘর নিশ্চয়ই অনেক ঠান্ডা হবে।অবশ্যই না। কারণ বরফ তাপ প্রতিরোধের কাজ করে। তাই বাইরের ঠান্ডা বাতাস বরফের তৈরি করা এই ঘরে ঢুকতে পারে না। বাইরের থেকে ভেতরটা অনেক বেশি গরম। গুলমারর্গ গেলেন অথচ ইগলু রেস্ট্রুরেন্ট এ যাননি তাহলে অনেক কিছু মিস করবেন আপনি।
গুলমার্গে ইগলু রেস্ট্রুরেন্ট
