পুলিস লাইনের সরকারি কোয়ার্টার থেকে সাতসকালে মিলল ৫ জনের লাশ। স্বামী-স্ত্রী, তাদের ২ সন্তান ও এক বৃদ্ধা। চারজনের গলার নলিই কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। আর মহিলা কনস্টেবলের স্বামী পঙ্কজ সবাইকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভাগলপুরের এক পুলিস লাইনে থাকতেন নীতু কুমারী নামে ওই পুলিস কনস্টেবল।নিতুর পোস্টিং ছিল ভাগলপুর এসএসপি-তে। সকালে ওই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিসের কর্তারা। সেখানে তারা একটি সুইসাইড নোট পান। সেখানে নিতুর স্বামী পঙ্কজ ৪ জনকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। ফলে পরিবারের মধ্যে কোনো বড়ো গোলমালের আন্দাজ করতে পারে পুলিশ।পুলিস সূত্রে খবর, পঙ্কজের সন্দেহ ছিল তার স্ত্রী নিতুর কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই গোটা পরিবারকে শেষ করে দেয় পঙ্কজ। এই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ভাগলপুরের ডিআইজি বলেছেন নিহতেরা বক্সারের বাসিন্দা। নিতু ও পঙ্কজ ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে নিতু ও পঙ্কজ প্রকাশ্যেই লড়াই করত। গতকাল রাতেও তাদের মধ্যে তমুল লড়াই হয়েছিল। গোটা বিষয়টি স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই ছিল। পরে এই কাণ্ড ঘটে।