চার বছরের দাম্পত্যে পর্দাফাঁস, স্বামী মেয়ের পোশাক পরা এবং তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক ২৩ বছর বয়সী গৃহবধূর অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। ২০২০ সালে ধুমধাম করে হওয়া বিয়ের চার বছরের মধ্যেই স্বামীর আচরণ এবং শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্ত্রীর অভিযোগে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য: বিয়ের পর থেকেই স্বামী জানান, তিনি শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত নন এবং চিকিৎসা চলছে। স্ত্রীর সঙ্গে চার বছরেও কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। স্বামীর মোবাইল ঘেঁটে তিনি এমন ছবি পান, যেখানে তাঁর স্বামী মেয়েদের মতো পোশাক পরে নাচ করছেন এবং বৃহন্নলাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়েছেন, এমনকি তাঁকে মারধরও করা হয়েছে। স্বামীও তাঁর ওপর নির্যাতন করেছেন। শারীরিক অসুস্থতার সময় তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে আসা হয়। সুস্থ হয়ে ফিরে এলে দেখা যায়, তাঁর ঘর ননদ দখল করে নিয়েছেন। পরে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী বিষয়টি মানতে নারাজ। পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হলেও কেউই আর একসঙ্গে থাকতে রাজি নন।
এই ঘটনা এখন পারিবারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদ চান এবং তাঁর স্বামীর মোবাইলের প্রমাণ পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। এই ঘটনা প্রযুক্তি এবং পারিবারিক জীবনের অপ্রকাশিত দিকগুলো সামনে এনেছে। সমাজে স্বীকৃতির অভাবে অনেকেই দ্বৈত জীবনযাপন করেন, যা দাম্পত্য জীবনে জটিলতার সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে, স্ত্রীর প্রতি শ্বশুরবাড়ির আচরণও সমালোচনার মুখে পড়েছে।