জাল নোট বানিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ক্রয়, গ্রেপ্তার ৪
জাল নোট কারবারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। ২৪শে সেপ্টেম্বরের ঘটনায় হাওড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার গয়না ব্যবসায়ী প্রজ্ঞানপ্রদোষ পারিদার কাছে একটি অর্ডার আসে। ২৭ লক্ষ টাকার সোনার চেন, সঙ্গে আরও কিছু খুচরো গয়না। সব মিলিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার জিনিস অর্ডার করা হয়েছিল ফোনে। ক্রেতা বলেছিলেন, এমজি রোডের এক হোটেলের কাছ থেকে ডেলিভারি নেবেন।
ব্যবসায়ী প্রজ্ঞানের অভিযোগ, তিনি কর্মচারির হাতে ওই গয়না দিয়ে পাঠিয়ে দেন। এক ব্যক্তি ৬ বান্ডিল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে সেই গয়না নেন। ফেরার পরও বুঝে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ী। কিছু দিন পর বোঝেন, নোটগুলি নকল। সেগুলি আসল নোটের রঙিন জেরক্স ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝে জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রজ্ঞান। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেয়। সিসিটিভির ফুটেজ, কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। এর পরই জানা যায়, কলকাতা এবং সল্টলেকে আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী একই প্রস্তাব পেয়েছেন।
সোমবার হাওড়া ময়দানের কাছ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকলেই রাজস্থানের বিকানের-এর বাসিন্দা। হাওড়ার এক বাসিন্দাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে ‘সার্চ’ করা হয় সল্টলেকের সুকান্ত নগর এলাকার একটি বাড়ি। জানা যায়, সেখানেই মাসখানেক ধরে ভাড়া থাকছিল তারা।
বাজেয়াপ্ত হয় একটি হাতে পরিচালিত ‘পেপার কাটিংমেশিন’, একটি কালার প্রিন্টার, সাতটি পলিথিনের প্যাকেটে ৫০০ টাকার নোট, একটি ব্যাক প্যাক। তদন্তকারীরা জানতে পারে, বাড়ির দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ করে রাখা থাকত। অনলাইনে অর্ডার করে খাবার কিনত। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।