পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার অথবা ধানের গোলা নামেই পরিচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ব্যাপক পরিমাণে ধান চাষ হয়। তবে বর্তমানে ধান চাষের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের চাষ শুরু করেছেন জেলার চাষিরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত। এই পূর্বস্থলীর চাষিরা শুধুমাত্র ধান চাষ নয়, বিকল্প চাষ হিসেবে বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের চাষ করছেন। কোনও চাষি সবজি চাষ করছেন, আবার কেউ ফল চাষ করছেন, আবার অনেকে ফুল চাষও করে থাকেন। তারই মধ্যে অন্যতম একটি চাষ হল পেয়ারা চাষ।বর্তমানে পূর্বস্থলীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষিরা পেয়ারা চাষ করে থাকেন। কিন্তু পেয়ারা চাষ করে সমস্যায় পড়েছিলেন চাষিরা। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কমে গিয়েছিল পেয়ারার দাম। লাগাতার ভারী বর্ষণে পেয়ারার দাম নেমে গিয়েছিল। কিন্তু এবার বৃষ্টি কমতেই দাম বাড়তে শুরু করেছে পেয়ারার। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর ষষ্টিতলা পাইকারি আড়তে বেশ ভাল দামে বিক্রি হতে দেখা গেল পেয়ারা।
এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলীর এক পেয়ারা চাষি বলেন, “আগে পেয়ারার দাম কম ছিল। কিন্তু এখন দাম বেড়েছে আগের তুলনায়। এখন সাড়ে ৮ টাকা কেজিতে পেয়ারা বিক্রি হল। এরপর আরও দাম বাড়বে। পেয়ারা চাষে লাভ আছে। তবে শীতকালে ফলন কম হওয়ার কারণে দাম ভাল পাওয়া যায়।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক জন ব্যবসায়ীর হাত ধরে পূর্বস্থলীর পেয়ার পাড়ি দিচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ডের পাইকারি বাজারে। স্থানীয় চাষিদের কাছে থেকে পেয়ার কেনার পর আড়তেই তা প্যাকেটজাত হচ্ছে। এরপর ট্রাকে করে তা পাড়ি দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। পূর্বস্থলীর পেয়ারা ভিনরাজ্যে রপ্তানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে চাষিদের মধ্যে।
গঙ্গানন্দপুর, বগপুর, স্বরডাঙা, বরগাছি, রানিপুর এলাকায় এবছর পেয়ারার ফলন বেশি। কিন্তু কিছুদিন আগে পর্যন্তও পেয়ারার দাম কম থাকার কারণে চাষিরা নিরাস ছিলেন। তবে বর্তমানে ভাল দামে পেয়ারা বিক্রি করতে পেরে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখেও।