তিন তালাক প্রথা শাস্তিযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটিকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনার পক্ষে সওয়াল করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। জবাবে দেশের শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, ‘বিবাহের মত একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তিন তালাক প্রথা বিপজ্জনক। এটি মুসলিম মহিলাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।’তিন তালাক প্রথাকে ভারতে বেআইনি ঘোষণা করে মোদী সরকার। ২০১৭ সালের অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক। তবে এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় আনার আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে হলফনামা জমা করতে বলা হয়।এ দিন দেশের শীর্ষ আদালতে জমা করা কেন্দ্রের ওই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওই মামলায় কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, তিন তালাকের শিকার হওয়া মুসলিম মহিলারা পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু, আইনে শাস্তিমূলক ধারা না থাকায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র।
তবে তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক হিসেবে উল্লেখ করা এবং আইন প্রণয়ন হওয়ার পরও তা এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। আর তাই অপরাধ বন্ধ করতেই দ্রুত কঠোর আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র এটাও আদালত স্মরণ করায় শাস্তির বিধান না থাকায় শায়রা বানুর ঘটনার পর তিন তালাক অবৈধ ঘোষিত হলেও সমাজে তার কোনও প্রভাব পড়েনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া মুসলিম বিবাহ আইনে এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যার জেরে কেউ তিন তালাক দিলে দোষীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর পাল্টা শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে কেরালার জমাইতুল উলেমা নামে এক সংগঠন। উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া এই আইন অসাংবিধানিক। এটিকে বাতিল করা হোক। এই আইন মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে বলেও জানায় এই সংগঠন। ধর্মের ভিত্তিতে তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না বলে মত তাদের।

Asia News https://asianewslive.in

Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours