ধনেপাতা খাওয়ার একসঙ্গে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক… কি সেই উপকারগুলি
আজকাল বাজারে প্রচুর ধনেপাতা পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ এনে দেয়। এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
অনেকেই মনে করেন স্বাদ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়া ধনেপাতার অন্য কোনো উপকারিতা নেই। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শরীরের পক্ষে উপকারী ধনেপাতা।ধনেপাতা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এই পাতা। পাশাপাশি চোখে ব্যথার সমস্যাও দূর করে।
প্রদাহ রোধ করে
ধনেপাতা রান্নাবান্না ছাড়াও অল্টারনেটিভ মেডিসিন (গতানুগতিক নয়) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনেপাতার রসে রয়েছে এসেনশিয়াল লিপিড ও লিনালুল তেল। গবেষণায় পাওয়া গেছে, লিনালুল ব্যথা উপশম করতে পারে এবং এটি অতিরিক্ত সক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ধনেপাতা মৃগীরোগ, বিষণ্নতা ও প্রদাহ রোধ করে।
. থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখে
হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম—দুটিই থাইরয়েডের সমস্যা। আমাদের গলার সামনের দিকে থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে কিছু প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসৃত হয়। তবে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। ধনেপাতা থাইরয়েডের এই ভারসাম্য রক্ষা করে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরম অনুভূত হওয়া, হট ফ্ল্যাশ, রাতে অতিরিক্ত ঘাম এবং পিত্তজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এই ধনেপাতার রস।
চক্ষূরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
ধনেপাতায় আছে বিটা-ক্যারোটিন ও লুটিন, যেগুলো অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল কোষের ক্ষতি করে। ফ্রি র্যাডিকেল ক্যানসার, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগও তৈরি করে। ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধনেপাতার রসে ধনেবীজের চেয়ে বেশি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। বেশি বেশি ধনেপাতা খেলে চক্ষূরোগ এবং কিছু কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
মন–মেজাজ ভালো রাখে
আমরা অনেক সময় উদ্বেগ কমাতে ওষুধ খাই। কিন্তু ধনেপাতার রস খেলেও উদ্বিগ্নতা কমে। কারণ, এই নির্যাস পেশি শিথিল ও প্রশম করে। এর ফলে মন–মেজাজ ভালো হয়।
রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে ধনেপাতা। নিয়মিত ধনেপাতা খেলে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে ধনেপাতা। প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। এর ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।