নিউ টাউনে সাপের আতঙ্ক: নির্মাণকাজের জন্য বীরভূম থেকে আসছে লরি লরি বালি, সেগুলোর মধ্যে লুকিয়ে চন্দ্রবোড়া সাপ
নিউ টাউনে প্রতিনিয়ত নির্মাণকাজের জন্য বীরভূম থেকে আসছে লরি লরি বালি, আর সেই বালির মধ্যে লুকিয়ে চলে আসছে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ। এই পরিস্থিতিতে নিউ টাউন এখন চন্দ্রবোড়া সাপের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা নিয়মিত সাপের ছোবল খাচ্ছেন, আর বাড়ি, ঘর বা আবাসনে সাপের দেখা মিলছে যেকোনো সময়। ফলে, নিউ টাউনের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর, নিউ টাউনের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা হরি মণ্ডল নামক একজন ব্যক্তিকে বাড়ির ভিতরে সাপে কামড়ায়। কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এক বছর আগে, নিউ টাউনের সৌরভ নস্কর নামক এক যুবক ফুটবল খেলতে গিয়ে সাপের কামড়ে মারা যান।
সর্পবিদ তাপস রায় জানান, গত এক বছরে নিউ টাউন থেকে প্রায় ১৩০টি সাপ ধরেছেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই চন্দ্রবোড়া। তিনি বলেন, নিউ টাউনের জনবসতি বৃদ্ধির কারণে ক্রমশ সবুজ এলাকা কমছে, আর সাপেদের থাকার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। সেই কারণেই সাপ বাসা-বাড়ি এবং রাস্তা-ঘাটে প্রবেশ করছে। তাপস রায় আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম না দিয়ে সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে, যার কারণে তাদের বংশবিস্তার দ্রুত হয় এবং বাচ্চাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেশি।
গত এক বছরে নিউ টাউনে তিনজন বাসিন্দা চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে মারা গেছেন, এবং আরও সাত-আটজন সাপের কামড় খেয়েছেন। বর্তমানে নিউ টাউন এলাকার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাপের কামড় খাওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি ভেনম রাখা হয়েছে, তবে আতঙ্ক এখনও কাটছে না। সল্টলেকের ডিএফও কল্যাণ রায় জানিয়েছেন, বন দফতর নিয়মিত সাপ ধরছে, এবং বেশিরভাগই চন্দ্রবোড়া সাপ