শেখর সুমন, বলিউডের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ও জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালক হিসাবেও যথেষ্ঠ নামডাক রয়েছে তাঁর। কিছুদিন আগে দীর্ঘ বিরতির পর সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিরিজ ‘হীরামান্ডি’-তে অভিনয় করে ফের চর্চায় রয়েছেন অভিনেতা।প্রায় ৪০ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘উৎসব’ ছবিতে রেখার নায়কের ভূমিকায় থাকা শেখর সুমনের জীবনে রয়েছে অনেক উত্থান-পতন। ১১ বছর বয়সি ছেলেকে হারিয়েছেন শেখর সুমন। সন্তানের মৃত্যুতে জীবনটা একেবারে পালটে গিয়েছিল শেখরের।এতগুলো বছর কেটে গেলেও পুত্রশোক আজও একটুকু কম হয়নি তাঁর। এই ঘটনায় ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মনের ভিতর ক্ষোভ জমেছে শেখরের। তাঁর দাবি, ছেলেকে হারানোর পর ঈশ্বরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। বন্ধ বাড়ির মন্দির। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বড় ছেলের মৃত্যুর প্রসঙ্গে কথা বলেন। আর সেই কথা মনে করতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেতা। কীভাবে মৃত্যু হয় শেখর সুমনের বড় ছেলে আয়ুষের? অভিনেতা বলেন, এক জটিল রোগ কেড়ে নেয় ছেলেকে, যার কোনও চিকিৎসা নেই।অভিনেতা জানান তাঁর বড় সন্তানের এন্ডমায়োকার্ডিয়াল ফাইব্রোসিস বা ইএমএফ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এই রোগে মূলত হার্ট বিকল হয়ে যায় বলেই ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর রেয়ার ডিসঅর্ডার্স।এই রোগের কথা বলতে গিয়েই অভিনেতা যেমন সচেতনতা ছড়ান রোগটি নিয়ে তেমনই ছেলের মৃত্যুর কথা ভেবে কেঁদে ফেলেন। অভিনেতা জানান, ‘ইএমএফ এমন একটা রোগ যা লাখে একজনের হয়। ভারতে হয়তো সর্বসাকুল্যে ৩-৪ জনের এই রোগ হয়েছে। আর এই রোগের কোনও চিকিৎসা হয় না এক হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া।’ শেখর সুমন জানান ‘ওকে নিয়ে যখন আমরা সেই রাতে হাসপাতালে ছুটে যাই তখন চিকিৎসক জানিয়ে দেন ও আর নেই। আমি ওর দেহ আঁকড়ে গোটা রাত শুয়েছিলাম। খুব কেঁদেছি। অলকাও খুব কেঁদেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সবটা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। আমরা সমস্ত যন্ত্রণা, কষ্ট বুকে সামলে ছেলেকে বিদায় জানাই চিরকালের জন্য, চিতার আগুনে দিয়ে দিই। আশা করব সময় হয়তো সব কষ্ট কমিয়ে দেবে… কিন্তু আদতে আমাদের এই কষ্টটা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’ অভিনেতা আরও জানান, তিনি বড় ছেলেকে বাঁচানোর জন্য প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুই করা যায়নি। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে ৮ মাসের বদলে ওই রোগ নিয়েও আয়ুষ ৪ বছর বেঁচে ছিল।

Asia News https://asianewslive.in

Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours