পুরীর রত্ন ভান্ডারের সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এএসআই জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জিপিআর রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে
রত্নভাণ্ডারে মজুত রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার গয়নাগাটি । সেই রত্নভাণ্ডার সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার কথা। সেই কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় সেজন্য ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে অনুরোধ জানালেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই রত্নভাণ্ডার মাপজোক করে এএসআই। রত্নভাণ্ডার কী অবস্থায় রয়েছে, কী কী সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন, তা নিয়ে রিপোর্ট করেছে এএসআইয়ের লোকজন। ৪৫ পাতার ওই রিপোর্ট হাতে এসেছে জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির। তার পরেই মন্দির কমিটি চাইছেন, রত্নভাণ্ডার মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত শুরু করুক এএসআই।
এই বিষয়ে কী বলছে মন্দির কমিটি
মন্দির পরিচালন কমিটির তরফে মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি বলেন, “এএসআই রত্নভাণ্ডারে যে জিপিআর-জিপিএস সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। মন্দিরের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের বিষয়টি এসজেটিএ সব সময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। তিনি জানান, রত্নভাণ্ডারের মেঝে ও দেওয়ালের বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে মন্দির কমিটির একটি দলও।”
রত্নভাণ্ডারে মজুত প্রচুর গয়না ও মূল্যবান রত্ন, হীরা মতি :
পুরীর মন্দিরের তিন বিগ্রহের প্রচুর গয়না রয়েছে। সোনা-রুপোর পাশাপাশি অনেক দামী দামী রত্ন দিয়ে তৈরি বহুমূল্য অলঙ্কারও রয়েছে। এ সবই থাকে রত্নভাণ্ডারে। স্বর্ণবেশ কিংবা অন্য কোনও বিশেষ দিনে বিগ্রহ তিনটিতে কার্যত গয়নায় মুড়ে ফেলা হয়। সেগুলি অবশ্য রত্নভাণ্ডারে থাকে না। ৪৬ বছর পর চলতি বছরের জুলাই মাসে খোলা হয়েছিল রত্নভাণ্ডারের বাইরের প্রকোষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না হওয়ায় দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সংস্কারের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত সংস্কার না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই মন্দির কমিটির লোকজন চাইছেন দ্রুত সংস্কার করা হোক দেবতার রত্নভাণ্ডার । সেই উদ্দেশ্যেই আর্জি জানানো হয়েছে এএসআইকে।