প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাংলায় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস। ক্যানিংয়ে আবাস দুর্নীতির বড়সড়ো অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, রিপোর্ট দিয়ে জানাল রাজ্য। এটা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি, মন্তব্য বিচারপতির.শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানের অ্যাকাউন্ট ও তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী রাজ্যকে পদক্ষেপের নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আর তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। আর এর মধ্যেই কেন্দ্রেরআবাস যোজনার টাকা নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য গত ২০২১ সালে আবেদন জানান ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিরাজুল মণ্ডল-সহ পাঁচ বাসিন্দা। কিন্তু দিনের পর দিন প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত হন তাঁরা। একাধিকবার এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন সিরাজুল সহ ওই পাঁচজন। অভিযোগ বিভিন্ন সময় পঞ্চায়েত বিভিন্ন কথা বলা হয়। কখনও বলা হয় টাকা আসেনি তো আবার কখনও তাঁদের জানানো হয় তাঁরা নাকি টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যই ব্যক্তি নন। আর এখানে সিরাজুল মণ্ডলদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার যদি যোগ্য না হই, তাহলে কেন আগে বলা হল না। আর তা দাবি করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই পাঁচজন। যেখানে যে কোনও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখানোর আবেদন জানানো হয়। বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে রাজ্যের তরফে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। আর তা দেখে রীতিমত আশ্চর্য হন বিচারপতি। দেখেন, প্রকল্পের টাকা ওই পাঁচজনের নামে এসেছে। কিন্তু তা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। যা দেখে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি কাপুরের মন্তব্য এটা ইচ্ছাকৃত দুর্নীতি।
আদালতকে এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ মামলাকারী তিনজনের তিনটি ইনস্টলমেন্টের টাকা মামলাকারীর অ্যাকাউন্ট না গিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে গেছে। বাকি ২ জনের প্রথম ইন্সটলমেন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গেছে।
মামলাকারীদের দাবি টাকা তাদের নামের অ্যাকাউন্টে এলেও যে অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর তাদের নয়। এরপরেই উচ্চ আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়।