কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যাবার সময় ফারাক্কা ব্যারেজ এর ভয়াবহ রূপে অনেকেই মুগ্ধ হয় বারবার। জানেন কি এই ফারাক্কা কেন এত গুরুত্ব পায়? ইতিহাসের কথা অনুযায়ী হুগলী নদীতে জল সরবরাহ এবং কলকাতা বন্দরটি সচল করার জন্য ১৯৭৪ সালে এই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, সেই ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে পলির স্তরে ফলে জাহাজের যাতায়াত করা খুব অসুবিধা হয়। পলি ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করা হয়। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গার ৪০,০০০ ঘনফুট১,১০০ মিটার জল হুগলি নদীর অভিমুখে যায়।সেসময় হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নাকি বাঁধটি তৈরি করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে, ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা নদীর উপরে নির্মিত একটি বিশাল আকৃতির এই বাঁধ এই বাঁধের মাধ্যমে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়,ফারাক্কা বাঁধএর উচ্চতা ২,২৪০ মিটার এটি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল ১৫৬.৪৯ কোটি টাকা। বাঁধটিতে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে। ফারাক্কা সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জল এই বাঁধ থেকেই সরবরাহ করা হয়। এই বাঁধের উপর দিয়ে গিয়েছে ৩৪নং জাতীয় সড়ক যা কিনা বর্তমানে ১২নং জাতীয় সড়ক ও রেলপথ। যা কেবল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকেই নয়, ভারতের উত্তরপূর্ব অংশকেও জুড়ে রাখতে একটা ভূমিকা নেয়, এই বাঁধের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল জলের অভাবে হারিয়ে যেতে বসা গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথীকে পুনরায় গঙ্গার সাথে যুক্ত করে কলকাতা বন্দরকে পুনরায় সজাগ করে তোলা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত হলদিয়া বন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের বেনারস অবধি অংশকে ভারতীয় জাতীয় জলপথ-১ এর স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট কমপ্লেক্সের মূল উদ্দেশ্য হল ভাগীরথী-হুগলি নদী ব্যবস্থার শাসন ও নাব্যতা উন্নত করে কলকাতা বন্দরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা।

Asia News https://asianewslive.in

Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours