ফের নারী নির্যাতনের ভয়াবহ অভিযোগ। এবার উত্তরাখন্ডে সামনে এল নারকীয় এক ঘটনা। কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। ওই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।উত্তরাখণ্ডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথেই তাঁর উপর হামলা করে । তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এনডিটিভি এবং অন্যান্য সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তে জানা গিয়েছে যে ৩০ জুলাই রাত্রে বেলায় হাসপাতাল থেকে ই-রিকশায় উত্তরাখণ্ড-উত্তরপ্রদেশের সীমানায় বিলাসপুরের ভাড়াবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ই-রিকশায় ওঠার সময় তা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরেননি। তাঁর খোঁজও মিলছিল না। বাড়িতে রয়েছে তাঁর বালিকা কন্যা। খোঁজ না পেয়ে তার বোন তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে গিয়ে একটি মিসিং ডায়েরি করেন। তারপর ৮ দিন পরে অর্থাৎ ৮ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের পুলিশ একটি ফাঁকা জমি থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার করে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ওই জায়গাটি। ময়নাতদন্ত করা হয় এবং একটি বিশেষ টিম তৈরি হয় এই ঘটনার তদন্তের জন্য। নিহত নির্যাতিতার ফোন মিলছিল না। সেই ফোনের সূত্র ধরেই ধরা পড়ে অভিযুক্ত। উত্তরপ্রদেশের বরেলির ওই ব্যক্তি পেশায় দিনমজুর।গত বুধবার রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। নার্সকে অনুসরণ করতে করতে অনেকটা পথ আসে। তারপর নার্স বাড়ি ঢোকার আগে তার ওপর হামলা চালায়। টানতে টানতে ওই নার্সকে কাছের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।তারপর ওই নার্সের ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। তারপরে ওই নার্সের ব্যাগ থেকে টাকা ও ফোন চুরি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি।