বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে খুনের ঘটনার গ্রেফতার আরও ১
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও একজন। ফলে এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ২ জন। মৃতকে শ্বাসরোধ করেই খুন দাবি পুলিশের।
অক্টোবরের ৯ তারিখে রাতের বেলায় হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান বিষ্ণুপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্কটতলার বাসিন্দা বিপ্লব নাগ বয়স ৩৬ বছর।
এর পরেই বিষ্ণুপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার ১৩ দিন পর ২১ অক্টোবর বিষ্ণুপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই যুবকের পচাগলা অর্ধেক মাটি চাপা উদ্ধার করে বিষ্ণপুর থানার পুলিশ।
তদন্তে নেমে ওই দিন রাতেই মৃত যুবক বিপ্লব নাগের বন্ধু সুমন লোহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন অভিযুক্ত সুমনকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হেফাজতে থাকাকালীন সুমন লোহারকে জি়জ্ঞাসাবাদ করে তাদের আরেক বন্ধু আকাশ বাউরির কথা জানতে পারে পুলিশ। তার বাড়িও বিষ্ণুপুরে বলে জানা গেছে। শনিবার রাতে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকাশ বাউরিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার অভিযুক্ত আকাশ বাউরিকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় এবং পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।
এপ্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ মাকসুদ হাসানের দাবি, অভিযুক্তদের জেরা করে জানা গেছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বিপ্লব নাগকে। মৃত যুবকের মোবাইল ফোন আকাশ বাউড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এমনকী ধৃতদের জেরা করে আরও জানা গেছে, বিপ্লব নাগকে কিডন্যাপ করে তাঁর বাবার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। রাতে যখন তাদের সঙ্গে বিপ্লবের দেখা হয় তখন সকলেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। দেখা হওয়ার পরেই নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। তখনই উত্তেজিত হয় সুমন ও আকাশ উত্তেজিত হয়ে খুন করে বিপ্লবকে।