বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার, বাগদা এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
উত্তর ২৪ পরগনার **বাগদা থানার দুর্গাপুর** এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন **রাসেল** নামে এক বাংলাদেশি যুবক, যিনি গত কয়েক মাস ধরে **ভুয়ো পরিচয়পত্র** নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। ওই যুবকের আসল নাম **মেহবুব হোসেন রাসেল**, এবং তিনি **বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা** এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে তার পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর, এই অনুপ্রবেশকারীকে **গ্রেপ্তার** করা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।দুর্গাপুরের **মাসুদ মণ্ডল** নামে এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে থাকেন। প্রায় দুই বছর আগে, রাসেল সেখানে এসে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। **রাহুল মণ্ডল** নামে পরিচয়পত্র তৈরি করে, মাসুদ মণ্ডলকে নিজের বাবা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই ভুয়ো পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিনি স্থানীয়দের কাছেও পরিচিত হন। তবে রবিবার রাতে **পুলিশের হানা** এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একাধিক **অসঙ্গতি**। এরপরই জানা যায়, রাসেল মাত্র **তিন মাস আগে** এই ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর, রাহুল মণ্ডলের **ভুয়ো পরিচয়পত্র** এবং **দুর্গাপুর এলাকায় রাসেলের অবস্থানের উদ্দেশ্য** নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন কেন রাসেল সীমান্ত পেরিয়ে এসে ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছিলেন এবং এর পিছনে কোনো **জঙ্গি কার্যকলাপের** যোগসূত্র আছে কিনা। সেসাথে, মাসুদ মণ্ডল কীভাবে রাসেলকে তার বাড়িতে থাকতে দিলেন এবং তাদের মধ্যে কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল—এ বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই ঘটনায় **স্থানীয়রা অবাক**। কীভাবে রাসেল দুই বছর ধরে **এলাকায় থাকতে** পারলেন, এমনকি স্থানীয়দের মধ্যে কোন সন্দেহও তৈরি হয়নি—এ প্রশ্ন তুলছে পুলিশ। তদন্তকারীরা মাসুদ মণ্ডলের পরিচয়পত্রের真实性ও যাচাই করছেন, কেননা এই ঘটনায় আরও বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।পুলিশের তরফে এ ঘটনায় **তদন্ত শুরু** হয়েছে এবং **মাসুদ মণ্ডল**কেও **গ্রেপ্তার** করা হয়েছে। দুজনকেই সোমবার **আদালতে** তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সীমান্ত পেরিয়ে **অনুপ্রবেশকারী**দের ঢোকা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরও প্রশ্ন উঠেছে বাগদা এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে।