বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় রাজ্য সরকারের বিপুল বিনিয়োগ: গত ১০ বছরে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা
বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা গত এক দশকে প্রভূত উন্নতি করেছে, এবং এই উন্নয়নের পিছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের ব্যাপক বিনিয়োগ। ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য খাতে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই বিনিয়োগে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে যা প্রশংসনীয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১১ থেকে বেড়ে ৩৫-এ পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, এমবিবিএস আসনের সংখ্যা ১৩০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৫,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও আসনের এই বৃদ্ধি, বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে, চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করেছে, যা রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে।এছাড়া, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ব্লকস্তরের হাসপাতাল গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানোর জন্য অনেক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সমস্ত উদ্যোগের ফলে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্য পরিষেবার সহজ প্রবেশাধিকার সৃষ্টি হয়েছে।রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্যসাথী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার চিকিৎসা খরচ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২.৫ কোটি পরিবার উপকৃত হয়েছে। রোগ পরীক্ষার ইউনিট: বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষার সুবিধা দিতে রাজ্যে মোট ১৬০টি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে।ওষুধের দোকান: রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে জেনেরিক ওষুধ পাওয়া যায়।রাজ্য সরকারের এইসব পদক্ষেপের ফলে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এর পিছনে রাজ্য সরকারের বিনিয়োগের পরিমাণ গত ১০ বছরে দাঁড়িয়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতের পরিকাঠামো এবং সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য খাতে এই পরিবর্তনকে একটি সফল পরিকল্পনা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করছে।