বাঙালি ঋতুপর্ণ ঘোষের কাছে চিরঋণী। হঠাৎই তাঁর অকালে চলে যাওয়াকে আজও মেনে নিতে পারে না বাঙালি। তিনি বেঁচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে বাংলা সিনেমায় আরও অনেক নতুন তারার জন্ম হত। টলিপাড়ায় অনেকেই শুধু তাঁর একটা ফোনের জন্য অপেক্ষা করতেন। শুধু টালিগঞ্জ কেন বলিউডের একের পর এক হেভিওয়েট অভিনেতা অভিনেত্রীরাও মুখিয়ে থাকতেন তাঁর ছবিতে অভিনয় করার জন্য। তিনি বাঙালির অতি প্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবির মাঝে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল অন্যরকমের গল্প বল। অন্য রকম ব্যাক্তিত্ব অনেক আনকোরা অথচ আটপৌরে।
ঋতুপর্ণ ঘোষ মানেই নতুন সৃষ্টি, নতুনের আমন্ত্রন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা আবহ সবশেষে খুব স্নিগ্ধ একটা অনুরনন । সিনেমায় কেরিয়ার শুরু করার আগে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেছিলেন ঋতু। এমনকি তাঁর লেখা বেশ ঘরোয়া।বিজ্ঞাপন-প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন জগত থেকে পথ চলা শুরু করলেও ভারতীয় সিনেমায় সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অসামান্য সব কাজ করে গেছেন।
“১৯ এপ্রিল”প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অপর্ণা সেন,দেবশ্রী রায় অভিনীত এই ছবিটি ঋতুপর্ণকে জাতীয় পুরস্কার। এনে দেয়। ছবিতে মা ও মেয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন ঋতুপর্ণ। মা ও মেয়ের সম্পর্কের এক টানাপোড়েনের গল্প। রেনকোট থেকে চোখের বালি, তিতলি, উৎসব, অসুখ, দ্য লাস্ট লিয়র,সব চরিত্র কাল্পনিক,আবহমান,ঋতুপর্ণ ঘোষের একের পর এক কালজয়ী ছবি মন কেড়েছে দর্শক দের। তাঁর প্রথম ছবি ছিল হীরের আংটি। এককথায় সম্পর্কের গভীরতাকে ভাবে তুলে ধর ঋতুপর্ণ ঘোষ ছাড়া আর কতজনই বা করতে পারতেন!
সেদিন ছিল ২০১৩- এর ৩০ মে। অপ্রত্যাশিত এই মৃত্যুর খবরে সকলে একেবারে স্তম্ভিত। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন স্বনামধন্য পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ১১ টা বছর। তাঁর প্রয়াণ দিবসে এশিয়া নিউজ এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাঙালি চিরকাল ঋণী ঋতুপর্ণ ঘোষের কাছে
