মাত্র আট দিনের অভিযানে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হল সেই অভিযান। আগামী বছরের আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব নয় বলে আগেই আভাস মিলেছিল। আলাপ-আলোচনার পর এবার তাতে সিলমোহর দিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা .
মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার ফল মারাত্মক হতে পারে। মনের উপর তো বটেই, শরীরের উপরও প্রভাব পড়ে এতে। তাই এতদিন মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যে Boeing Starliner মহাকাশযানে চেপে তাঁরা মহাকাশে গিয়েছিলেন, সেটিকে যদি সক্রিয় না করা যায়, তাহলে বিকল্প উপায় বের করা হচ্ছে না কেন, উঠছিল প্রশ্ন।
সেই আবহেই শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে NASA. বৈঠক শেষে জানানো হয়, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবীতে ফেরানো হবে সুনীতা এবং ব্যারিকে। শুধু তাই নয়, Boeing Starliner-এর ওই বিকল হয়ে যাওয়া মহাকাশযানে চাপিয়ে ফেরানো হবে না সুনীতা এবং ব্যারিকে। বরং সুনীতাকে ফেরাতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স-কে ভরসা করছে নাসা.
আগামী মাসে স্পেস এক্স-এর ক্রিউ ড্রাগণ রকেটটি মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবে। চার আসন বিশিষ্ট রকেটের দু’টি আসন সুনীতা এবং ব্যারির জন্য খালি রাখা হবে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নোঙর করা রয়েছে বয়িং স্টার্লিনার মহাকাশযানটি। সেটিকে পৃথিবীতে কোনও পাবে ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, সেই চেষ্টা চলবে।