বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি মানবতার নজির গড়লেন বিজেপি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে।
#HumanityFirst#BJPWorkerSupport#PoliticalUnity#TMCLeader#HealthSathiCard#HumanitarianAct#VishnupurDistrict#DivyenduBandopadhyay#BJPvsTMC#HealthcareSupport#PoliticalRivalry#BengalPolitics#CompassionInPolitics#mamatabanerjeedreamproject#Bishnupur#asianews
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আর সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে বিজেপি কর্মীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত দিনের কয়েকবারের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বাবু হসপিটালের চত্বরে নিত্যনৈমিত্তিক যাকে দেখতে পাওয়া যেত। তাই সক্রিয় বিজেপি কর্মী অজয় মাঝি যে পৌর ভোটে তার বিরুদ্ধেই কার্যত ত্রাস হয়ে উঠেছিল গালিগালাজ থেকে শুরু করে হুমকি কি না করেছেন তিনি, কিন্তু দুর্ঘটনায় বাদ দিতে হয় তার ডান পা বাড়িতে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা করাতে না পারায় পায়ে পচন ধরে যায়। বিষ্ণুপুর শহরের কলা পুকুরের বাসিন্দা অজয়ের বাড়ির লোকজন দিব্যেন্দু বাবুর বাড়িতে পৌঁছান।
অজয় মাঝি বলেন এই দলের জন্য কি না করেছি আজ বিজেপির কোন নেতাকর্মী আমার খোঁজ নেয়নি বলে জানান আজ শাসক দল তৃণমূল দুঃসময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে পরিবারের এক ডাকে সাড়া দিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। দ্রুততার সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বানিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন নার্সিংহোমে। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত জুলাই মাসে অজয়ের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে সেই খবর শুনে অজয় তাঁর শ্বশুরবাড়ি বাঁকুড়ার ধলডাঙ্গায় যাওয়ার জন্য বের হন ।রাতে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধলডাঙ্গা ঢোকার আগের মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর যখন হন । প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায়।সেখান থেকে পিজি হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানে তার পা কেটে বাদ দেওয়া হয়। সাত দিনের পর ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার পর অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারেননি। তাই পায়ে পচন ধরে যায় বিপদ বুঝে পরিবারের লোকজন বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কিন্তু তারা কোন গুরুত্ব দেননি। এলাকার বিজেপি কাউন্সিলর শঙ্খজিত রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন দেখা করতে যাওয়ার সময় হয়নি।
অজয়ের মা সুধা মাঝি বলেন আমরা গরীব মানুষ লোকজনের বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে সংসার চলে। অসুস্থ ছেলেকে বাড়িতে আনলেও পয়সার জন্য আর চিকিৎসা করতে পারিনি। পায়ে পচন হয়ে গেছে দেখে আমরা চিন্তায় পড়ে যায়। এদিকে বিজেপির কেউ সাহায্য না করায় ছেলেটা মারা যাবে ভেবে উপায় না দেখে আমরা তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করি। তিনি তৎক্ষণা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে ছেলের নিত্যনৈমিত্তিক খবর রাখছেন ছেলের চিকিৎসা চলছে আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছে।
নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়ে অজয় বলেন দলের জন্য কি না করেছি কিন্তু বিছানা থেকে উঠতে না পারায় একটা হুইল চেয়ার চেয়েছিলাম উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যাকে হারানোর জন্য একদিন এত হুমকি গালিগালাজ করেছি আজ সেই আমার পাশে দাঁড়ালো।