বিহারে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও কারচুপি: আন্দোলনে লাঠিচার্জ, ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে নামলে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রবিবার রাতে পাটনায় এই আন্দোলন পুলিশ ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং এই ঘটনায় বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।১৩ ডিসেম্বর থেকে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন, তাদের দাবি ছিল পরীক্ষা বাতিল করে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়া। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবি তুলেছিলেন, কিন্তু অভিযোগ আছে যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবিকে গুরুত্ব দেননি। এরপর বিহারের বিরোধী নেতা প্রশান্ত কিশোর ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকে সমর্থন দেন। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ, তাঁর নেতৃত্বে পাটনার গান্ধী ময়দান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু হয়। মিছিলটি যখন ব্যারিকেড ভাঙতে থাকে, পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে। প্রথমে জলকামান ব্যবহার করা হয়, পরে ছাত্রদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশ এই লাঠিচার্জের দাবি অস্বীকার করলেও, তারা দাবি করেছে যে ছাত্রদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল তাদের দাবি পুলিশ কাছে তুলে ধরার জন্য, কিন্তু তারা অনড় থাকার কারণে পুলিশ বাধ্য হয়ে জলকামান ব্যবহার করে। এদিকে, প্রশান্ত কিশোর বিহার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “বিহারে চাকরির পরীক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা চলছেই।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, “নীতীশ কুমার বারবার দিল্লি যেতে পারেন, কিন্তু ছাত্রদের সঙ্গে একবারও দেখা করতে পারেননি।”এই ঘটনার পরেই পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, এবং আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।