বিডিও অফিসের মধ্যেই তুমুল উত্তেজনা। কথাকাটাকাটি, বচসায় জড়াল তৃণমূল ও আইএসএফের জনপ্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার ভাঙড়-২ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। বৈঠক যখন প্রায় শেষের মুখে, তখনই শুরু হয় তীব্র বচসা, কথাকাটাকাটি। হই-হট্টগোলের জেরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয় বিডিও অফিস চত্বর। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিন স্থায়ী সমিতির বৈঠকের শেষের দিকে বক্তব্য রাখছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। তখনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নওশাদ। কিন্তু আইএসএফ-এর জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, আরাবুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই সভার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। কেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সেখানে উপস্থিত থাকলেও, তাঁকে বক্তব্য় রাখার সময় দেওয়া হল না, সেই নিয়েই বচসা শুরু হয় আইএসএফ ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। শুরু হয়ে যায় তীব্র বাক-বিতণ্ডা।
এদিনের ঘটনায় বেজায় চটেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। স্থায়ী সমিতির বৈঠকে ডেকে এনে তাঁর প্রতি ‘অসৌজন্য’ দেখানো হয়েছে, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। নওশাদের বক্তব্য, ‘নিয়ম মেনে যে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল, সেখানে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিধায়ক হওয়ার সুবাদে এই সভার আমিও একজন সদস্য। কিন্তু আমার প্রতিও যে ন্যূনতম সৌজন্য দেখানো উচিত ছিল, সেটা হয়নি। বিরোধী দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ‘
সরাসরি তোপ দাগলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বললেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, আমাদের না বলতে দিয়েই সভা শেষ করে দিলেন। এটা বাঞ্ছনীয় নয়, এটা সভার পরিপন্থী। আমি বিডিও-র কাছেও গিয়েছিলাম। আমাদের ডেকে অপমান করা হল কেন? ডাকার তো কোনও প্রয়োজন ছিল না। সাংসদ-বিধায়করা যদি কথা না বলতে পারেন, তাহলে আমন্ত্রণের কোনও প্রয়োজন ছিল না।’