মণিপুরে অশান্তি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের কঠোর পদক্ষেপ: ৫০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন, এনআইএ-র হাতে গুরুত্বপূর্ণ মামলা
মণিপুরে ক্রমবর্ধমান অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সোমবার দিল্লিতে তাঁর নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান সিদ্ধান্তসমূহ: ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন: মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জন সদস্য থাকে, অর্থাৎ প্রায় ৫ হাজার অতিরিক্ত জওয়ান রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেনা, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে। তিনটি মামলা এনআইএ-র হাতে: হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনায় যুক্ত তিনটি মামলা মণিপুর পুলিশের হাত থেকে নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে গতি আনার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল: মণিপুরের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে। পরিস্থিতির কারণ এবং বর্তমান পরিস্থিতি:মেইতেই সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ:সম্প্রতি ছ’টি মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। রাজনৈতিক অগ্রাধিকার: অমিত শাহ নিজের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে আসেন এবং বৈঠক করেন, যা রাজ্যের পরিস্থিতির গুরুত্বকে চিহ্নিত করে।
মণিপুরে জাতিগত এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য রাজনৈতিক এবং সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এই মুহূর্তে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে, তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে আরও সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।