মণিপুর: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।
শনিবারও কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। রাতে ইম্ফল পশ্চিম জেলার তিদ্দিম সড়কের কেইসামপাটে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি চালায় পুলিস। সমাবেশটিতে প্রায় এক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। পুলিসের গুলির শব্দে নিমেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সব মিলিয়ে একবছরের বেশি সময় কেটে গেলেও অশান্তিতে রাশ টানতে ব্যর্থ প্রশাসন। ফলে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে কোণঠাসা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে গঠিত ‘ইউনিফায়েড কমান্ডে’র নিয়ন্ত্রণ হাতে পেতে সুর চড়ালেন তিনি। শনিবারের পর রবিবার সকালেও রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ও শরিক বিধায়করা। সেখানেই সংবিধান মেনে নির্বাচিত সরকারের হাতে যথাযথ ক্ষমতা ও দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলা হয়। তখনই ‘ইউনিফায়েড কমান্ডে’র নিয়ন্ত্রণের ভার তাঁর হাতে দেওয়ার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যথায় পদত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বলে খবর। যদিও তাঁর এই দাবিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। কারণ, শনিবার থেকে এই জল্পনা চললেও রবিবার রাজপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি জানিয়েছেন, এখনই পদত্যাগ করছেন না। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালকে মোট আটদফা দাবি জানিয়েছেন বীরেন সিং। তাঁর দাবি, গত বছর মে মাস থেকে শুরু হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষ বন্ধ করে অবিলম্বে শান্তি স্থাপন করুক কেন্দ্র। আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া কাজ সম্পন্ন করা, এনআরসি, অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর দাবিও তোলা হয়েছে।
মণিপুরে হিংসা বন্ধে নিরাপত্তা উপদেষ্টার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ‘ইউনিফায়েড কমান্ড’ গঠন করা হয়েছিল। তাতে রাজ্যের পুলিস, প্রশাসন ছাড়াও সেনা, আধাসেনা, আইবি ও র’য়ের আধিকারিকরাও রয়েছেন। এদিকে, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে মণিপুরের বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তর
+ There are no comments
Add yours