মারাত্মক অভিযোগে গ্রেফতার ‘টেলিগ্রাম’ এর সিইও, কী হবে অ্যাপের ভবিষ্যৎ?
#TelegramCEOArrest#PavelDurov#SocialMediaScandal#AppFutureInQuestion#TelegramControversy#CyberCrime#FraudAllegations#EncryptedMessaging#SocialMediaRegulation#TechIndustryNews#AppSecurity#LegalTroubles#FranceArrest#asianews
রাশিয়ার জন্ম পাভেল দুরভের। এখন বয়স ৩৯ বছর। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের মালিক। হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, উইচ্যাটের প্রতিযোগী এই মেসেজিং সার্ভিস অ্যাপ। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে বেরনো দেশগুলিতে প্রবল জনপ্রিয় এই অ্যাপ। এছাড়া, সারা বিশ্বে অসংখ্য ব্যবহার রয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ত্যাগ করেন দুরভ। ফোর্বস তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫.৫ বিনিয়ন মার্কিন ডলার। বেশকিছু রাশিয়া ও ফরাসি মিডিয়ার দাবি ২০২১ সালে ফ্রান্সের নাগরিক হয়েছে পাভেল দুরভ। এখন দুবাই থেকে ব্যবসা চালান তিনি।
গ্রেফতার সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। প্যারিসের কাছে একটি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। এএফপি সূত্রের খবর, টেলিগ্রাম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ফরাসি-রুশ বিজনেস টাইকুন পাভেল দুরভকে প্যারিসের কাছে লে বোর্গেট বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজারবাইজানের বাকু থেকে এসেছিলেন।
এএফপি সূত্রের খবর, নাবালকদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংসা রুখতে কাজ করে ফ্রান্সের অফমিন,তারাই দুরভের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছিল- প্রতারণা, ড্রাগ পাচার, সাইবার বুলিং, সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদের প্রচার-সহ একাধিক অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তে দুরভের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। তাঁর প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে পারেননি দুরভ, এই অভিযোগও রয়েছে।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের ব্যবসা দুবাইভিত্তিক। একাধিক মেসেজিং অ্যাপের বিকল্প হিসেবে বহুদিন ধরেই পরিচিত টেলিগ্রাম। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে, এমন অভিযোগ বহুদিন ধরে রয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে পাভেল দুরভ জানিয়েছিলেন এর আগে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তিনি বানিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে রাশিয়ার সরকারের চাপ বাড়ছিল তাঁর উপর। পরে সেটা বেচে ২০১৪ সালে রাশিয়া ছাড়েন তিনি। তারপরেই এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ বানানোর ভাবনা তাঁর মাথায় আসে, তৈরি করেন টেলিগ্রাম। এর ফলে টেলিগ্রামের মাধ্যমে সহজেই বিদ্বেষমূলক, মিথ্যে, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো যায়- এমন অভিযোগও রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours