মাস্টারমশাই-ই ‘ট্যাব কেলেঙ্কারি’-র মাস্টারমাইন্ড?
মালদার ভগবানপুর কেবিএস হাই স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখের গ্রেপ্তারের পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ মঙ্গলবার মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে রকিও রয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতে, টেকনোলজির বিষয়ে রকির গভীর জ্ঞান থাকার কারণে এই কেলেঙ্কারির পেছনে তার হাত থাকতে পারে।
কেবিএস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে স্কুলে যোগ দেওয়া রকি ছাত্রদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতেন, তবে ট্যাবের জন্য কোন কাজই তাঁকে দিয়ে করানো হয়নি। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, রকির গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় স্কুলের অন্য শিক্ষকরাও অবাক হয়েছেন।
এছাড়া, কলকাতার কিছু স্কুলে ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দ টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঠাকুরপুকুরের একটি স্কুলে ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা না পৌঁছে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে না গিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা প্রযুক্তির বিষয়ে দক্ষ এবং তারা সাইবার ক্যাফেতে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্যাবের জন্য বরাদ্দ অর্থ সরানো হয়েছে।