মোহিনীর জন্যই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত রহমান-সায়রার?
অস্কারজয়ী সুরকার এআর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। রহমান পত্নীর আইনজীবী বন্দনা শাহ একটি বিবৃতি জারি করে সকলকে জানিয়েছেন সেই খবর। তবে রহমান বিচ্ছেদ ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বেসিস্ট বাঙালি কন্যা মোহিনী দে ডিভোর্সের কথা জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহিনী এবং তাঁর সুরকার স্বামী মার্ক হার্টসুচ বলেছেন যে, তাঁরা তাঁদের বিবাহের ইতি টানছেন।
দু’জনে যৌথ পোস্টে লেখেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমি আর মার্ক আলাদা হচ্ছি। প্রথমত, আমাদের বন্ধু এবং পরিবারকে জানাই এই সিদ্ধান্ত আমরা পারস্পরিক সহমতেই নিয়েছি। তবে বিচ্ছেদের পরও একে অপরের বন্ধু থাকব। কিন্তু আমাদের দু’জনের আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার ফলে অনেকেই দু’য়ে দু’য়ে চার করার চেষ্টা করছেন। অনেকেরই মনে হয়েছে তবে কি এআর রহমান-সায়রা বানুর বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে কারণ মোহিনী দে? মোহিনী কলকাতার একজন সুখ্যাত বেস বাদক এবং বিশ্বব্যাপী ৪০ টিরও বেশি শোতে রহমানের সঙ্গে পারফর্ম শো করেছেন। । এর কারণে অনেকের মনে হয়েছে রহমাণের ডিভোর্সর পিছনে মোহিনীর হাত রয়েছে কিন্তু এবার সেই গুজবের নীরবতা ভাঙলেন রহমান-পত্নীর আইনজীবী।
বন্দনা শাহ বলেন, ‘এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। সায়রা ও এআর রহমান নিজেরাই ভেবে-চিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ বন্দনা আরও জানান, এআর রহমান এবং সায়রা বানু এখনও কোনও আর্থিক চুক্তিতে পৌঁছাননি। তবে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক আজীবন বজায় থাকবে।সায়রার আইনজীবী বলেন, ডিভোর্স তাঁদের দু’জনের জন্যই অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি সিদ্ধান্ত। বন্দনার কথায়, ‘যখন কারও বিয়ে ভেঙে যায় তখন সেটি অনেক কষ্টের মধ্যে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কখনওই কেউ খুব আনন্দ পায় না। বিবাহ বিচ্ছেদ কোনও আনন্দের অনুষ্ঠান তো নয়। বিয়ের পর অনেক চড়াই-উতরাই এসেছে সায়রার জীবনে। তার থেকেই এই সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যেতে এ আর রহমান ও সায়রা বানু তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণা প্রকাশ্যে আনেন। রহমান লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, তবে সমস্ত কিছু, মনে হয়, এক অদৃশ্য পরিণতি বয়ে বেড়ায়