রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো৷ ১৭ই সেপ্টেম্বর সারাদেশে ধুমধাম করে পালিত হতে চলেছে বিশ্বকর্মা পুজো। কোন উপায়ে ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করলে দ্বিগুন লাভবান হওয়া যায়, তা জেনে নিন৷
#VishwakarmaPuja2024
#VishwakarmaFestival
#WorshipVishwakarma
#CelebrateVishwakarma
#VishwakarmaPujaRituals
#VishwakarmaPuja2024
#VishwakarmaDay
#VishwakarmaPujaCelebration
#PujaRituals
#VishwakarmaPujaTips#asianews#asianewslive
মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি আছে এরকম সব স্থানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে ‘কন্যা সংক্রান্তি’ বলা হয়। পুরাণ মতে এই তিথিতেই বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।উন্নত ভবিষ্যৎ, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে, বিভিন্ন ধরনের পেশার মানুষ বিশ্বকর্মা পুজো করেন। পুরাণ মতে ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি আছে এরকম সব স্থানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়।যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখন সময় আসে এই উত্তরায়ণের। মনে করা হয়, সেই সময়ই দেবতাঁরা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, হিন্দু পঞ্জিকার সূর্য সিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত উভয়ই এই পুজোর ক্ষেত্রে একমত।
এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর, কন্যা সংক্রান্তির সূচনা হবে রাত ১.২৯ মিনিটে।
শুধু কলকারাখানা, শিল্পক্ষেত্র নয়, অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। এই বিশেষ দিন পুজোর পর রকমারি খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো রীতি রয়েছে। এছাড়াও এই পুজোর আগের দিন পশ্চিমবাংলার আদি বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন। এটিও বাঙালিদের একটি জনপ্রিয় পার্বণ।
বিশ্বকর্মা পুজোয় এবার জেনে নেওয়া যাক কী সেই বিধি।
. বিশ্বকর্মা পুজোয় দীপ, ধুপ, জল ও পৈতে লাগবেই। এছাড়াও পুজোর সামগ্রীতে অবশ্যই থাকা চাই চন্দন, পরামর্শ জ্যোতিষবিদদের।
২. অন্য পুজোর মতোই ফুল দিয়ে দেবতার আরাধনা করতে হবে। এক্ষেত্রে জ্যোতিষবিদরা দেবতাকে সাদা ফুল অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
3. . শাস্ত্রমতে বিশ্বকর্মা দেবের পুজোয় কপালে টিকা লাগানো জরুরি। কেন? টিকার অর্থ কী? টিকার অর্থ হল, দেবতার সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা। দেবতার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ চিহ্নও টিকা। এসব কারণেই বিশ্বকর্মা পুজোয় সিঁদুরের টিকা দেওয়া শুভ।
৪. বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচত, মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা। সেগুলি কী? ইলেকট্রিকের কাজে লাগে, এমন সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বাঞ্ছনীয়। যন্ত্রপাতিগুলিকে অয়েলিং করে, ধুয়ো মুছে রাখা উচিত। তার ফলে এইসব যন্ত্রপাতি ভালোও থাকে সারাবছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়।
5. বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ির যন্ত্রপাতি, রান্নাঘরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম কাউকে দেওয়া উচিত নয়।6. বিশ্বকর্মা পুজো শেষে সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়।
এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন। ফলও মেলে বেশি। এবং অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে মহামন্ত্র। সেটি হল, দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক
+ There are no comments
Add yours