
২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে গেলেও অযোধ্যায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণ্যার্থী আসার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এর পর প্রতিটি রাজ্যের জন্য একটি করে ট্রেনের ব্যবস্থা করছে সঙ্ঘ পরিবারও। কলকাতা থেকে অযোধ্যার দূরত্ব মোটামুটি ৮৭৫ কিলোমিটার। বাংলার ভোটে সেই দূরত্ব ঘোচাতে চায় বিজেপি। তাই বাংলার কর্মীদের নিয়ে যেতে চায়ে রামের অযোধ্যাধামে। তারই নানা উদ্যোগ শুরু হচ্ছে ভোটের বছরে গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল । সেই ট্রেনে চেপেই নেতা-কর্মীদের যেতে হবে অযোধ্যায়। শ্রীরামের ধাম দেখাতে নিয়ে যেতে হবে বুথ স্তরের কর্মী থেকে বিজেপি সমর্থকদেরও। কলকাতা থেকে রেলপথে অযোধ্যাধামের (নতুন নাম) দূরত্ব ৮৭৫ কিলোমিটার। কলকাতা স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাতে ছাড়ে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, হাওড়া থেকে প্রতিদিন ছাড়ে দুন এক্সপ্রেস। রেলের বর্তমান পরিষেবায় বাংলা থেকে সরাসরি অযোধ্যা যেতে হলে এই দু’টি ট্রেনই রয়েছে। কিন্তু বিজেপি চায় আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হতে নতুন রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ যাবেন অযোধ্যায় মন্দির দর্শনে। ফলে রেলের ওই দু’টি ট্রেন তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হবে না। সেই কারণে রেলের কাছে ইতিমধ্যেই তারা বিশেষ ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, রেলও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্য থেকেই এমন ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এই সব বিশেষ ট্রেনগুলিতে বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও টিকিট কেটে তাঁদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। তবে বিজেপি কর্মীদের ট্রেনের টিকিট ব্যক্তিগত ভাবে কাটতে হবে না তা দলের তরফে কেটে দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।