শিশু থেকে বড়. বয়স অনুযায়ী কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? কতটা ঘুমালে আপনি ফিট? জেনে নিন। রইল সম্পূর্ণ চার্ট।
প্রতিদিন কতটুকু ঘুম প্রয়োজন তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়সের উপর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কত ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট? বয়স অনুযায়ী আপনি কতটা ঘুমাচ্ছেন? বেশি না কম? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর কিন্তু অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে কী বলেন বিশেষজ্ঞরা। কতটুকু ঘুম পারফেক্ট?
বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য জল প্রয়োজন সেরকমই সুস্থ জীবন ধারণের জন্য ঘুমের ভূমিকা ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি ভালো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান শারীরিক বিশ্রাম নেন তে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না মানসিকভাবেও অনেকটাই সুস্থ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
কিন্তু বর্তমান জীবনধারা মানুষের মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। সারাদিন কাজের চাপ, অত্যধিক স্ট্রেস সরাসরি তাঁদের রাতের ঘুমকে প্রভাবিত করে। শান্তিতে ঘুম না হলে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তবে প্রতিদিন কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়সের ওপর। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কত ঘণ্টা ঘুম ‘যথেষ্ট’ একজনের জন্য? বয়স অনুযায়ী কত ঘুমানো ঠিক? এমন বিষয় নিয়েই আলোকপাত করবে এই প্রতিবেদন
পর্যাপ্ত ঘুম কেন গুরুত্বপূর্ণ? মানসিক চাপ এড়াতে টিভি বা মোবাইলে সিনেমা, সিরিয়াল দেখা, সারা রাত মোবাইলে গেম খেলার মতো কাজ করে অনেকেই চোখের ঘুম হারিয়ে ফেলেন। এটি সরাসরি তাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে শারীরিক সমস্যা ছাড়াও মানসিক সমস্যাও হয়।
ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে ঘুমের সময় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু পরিবর্তিত হয়।
কোন বয়সে কত ঘুম প্রয়োজন? দেখে নিন কী বলছে চার্ট৪ থেকে ১২ মাস বয়সি শিশুদের ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ১ থেকে ২ বছর বয়সি শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।৬থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের – ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
১৮ বছরের বেশি বয়সের প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য- অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য ভাল।৬০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য- ৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য ভাল।
ঘুমের অভাবে বিভিন্ন রকমের শারীরিক মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয় : পর্যাপ্ত ঘুম একজনের জন্য খাদ্য ও জলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে নানা রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মহিলাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া ঘুমের অভাব শরীরের কোষকে প্রভাবিত করে এবং হাড়কে দুর্বল করে।