সন্দেশখালিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ খুন ও ধর্ষণের
শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায় একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা এবং কোমরে বাধা ইটের অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক তরুণীর দেহ। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। তার পরিবার জানিয়েছে, মেয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার মরদেহ শনাক্ত করেছে পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গবাদি পশুদের পরিচর্যার জন্য গোয়ালঘরে গিয়েছিলেন তরুণী। বাড়ির অদূরেই গোয়ালঘরটি। তার মা, তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মায়ের দাবি, তিনি আগেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। মেয়েটি বলেছিল, ‘তুমি যাও, আমি আসছি।’ কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পরেও যখন তরুণী বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। তবে কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে সে দিন রাতে ন্যাজাট থানায় অভিযোগ করেন তার বাবা-মা।
শনিবার ভোরে স্থানীয় কয়েকজন প্রাতর্ভ্রমণকারী পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখে আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করেন। খবর পৌঁছায় থানায়। পুলিশ পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি এবং নির্দিষ্ট সন্দেহভাজনও শনাক্ত করা যায়নি। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হুসেন মেহদী রহমান জানিয়েছেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই এই ঘটনায় কারা জড়িত তা জানা যাবে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।