সরকারি চাকরির প্রতারণা ও খুনের অভিযোগ, জেলাশাসকের দফতরে হুলস্থূল কাণ্ড
একটি আশ্চর্য এবং দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী হলেন বরেলি জেলার জেলাশাসকের দফতরের কর্মকর্তারা। রীনা নামক এক মহিলা, যিনি ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা, অভিযোগ করেছেন যে তাঁর শাশুড়ি সরকারি চাকরি করতেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর সেই চাকরি পাওয়ার জন্য তার দেওর, অশ্বিনী, তাঁকে প্রতারণা এবং খুনের ফাঁদে ফেলে। রীনার অভিযোগ, প্রথমে তার স্বামীকে খুন করা হয়, তারপর দেওর তাকে সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের পক্ষে নিয়ে আসে। কিন্তু যখন অশ্বিনী সরকারি চাকরি পেয়ে যান, তখন তিনি রীনার কোনো সাহায্য করতে চান না। রীনা অভিযোগ করেছেন, তিনি একা, স্বামীহীন, এবং সন্তানদের নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। যদি দেওর সাহায্য না করেন, তার সংসার চলবে কীভাবে? নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে, রীনা জানান যে, অশ্বিনীর সাহায্য না পাওয়ার কারণে তার জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।এই অভিযোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন রীনা তার স্বামীকে খুনের জন্য সরাসরি অশ্বিনীর দিকে আঙুল তোলেন। তিনি দাবি করেন, অশ্বিনী তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করতে বাধা দিয়েছিলেন এবং পরে খুনের বিষয়টি সঠিকভাবে লুকানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন।রীনার অভিযোগে আরও বলা হয় যে, অশ্বিনী বিভিন্ন আত্মীয়দের সামনে তাকে এবং তার প্রতিবন্ধী ননদকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে এখন তিনি তাদের কোনো সাহায্য করবেন না। রীনা এই কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে বিচার চেয়ে জেলাশাসকের দফতরে হাজির হন এবং সরকারের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি করেন। জেলাশাসকের দফতরের কর্মকর্তারা মহিলার অভিযোগ শুনে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং তদন্তের আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।