সিবিআইয়ের চার্জশিটে বড় অভিযোগ: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের ষড়যন্ত্রে ১৫৮ জন চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এক নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় একটি বিতর্কিত প্রশ্নের জন্য পর্ষদ বাড়তি এক নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সিবিআই জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে ৪২৮ জন প্রার্থী বাড়তি এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য হলেও, মাত্র ২৭০ জনের প্যানেল তৈরি করে পর্ষদ। এর মধ্যে ১৫৮ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়।সিবিআইয়ের অভিযোগ, এই বাছাই প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হয়। ৪৬ জন এমন ছিলেন, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, এবং ৯ জন এমন ছিলেন, যারা বাড়তি এক নম্বর পাওয়ার পরেও পাশ করেননি। এমনকি উর্দু মাধ্যমের পরীক্ষার্থী দু’জনকেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর পর্ষদে এই সিদ্ধান্ত হয়, যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই ৩০ নভেম্বর ২৭০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকায় প্রার্থীদের তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল, যাতে কারচুপি চাপা দেওয়া যায়। ২৬৪ জনের নিয়োগ বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, এবং এটি পার্থ এবং মানিকের ষড়যন্ত্রের ফলস্বরূপ ঘটেছে।