২টো শুকনো কাঠির কেরামতিতেই ব্লাডসুগার, কোলেস্টেরলের, কৃমির বংশনাশ! রোজ ঢকঢক করে ১ গ্লাস এই তিতকুটে জল খেলেই রোগা হবেন ঝরঝরিয়ে
কবিরাজি এবং আয়ুর্বেদশাস্ত্রে প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত চিরতাপাতা। পার্বত্য অঞ্চলে এই ভেষজের চাষ ভাল হয়। কাশ্মীর থেকে ভুটান পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে চিরতা গাছ সবচেয়ে বেশি হয়। সোজা লম্বা কাণ্ড, মোটা ছাল। ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস থেকে লিভারের যে কোনও সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে চিরতা।শুকনো চিরতার ২টো কাঠি ২ কাপ জলে ফোটাতে হবে। যত ক্ষণ না জল কমে অর্ধেক হয়ে যায়। তার পর ছেঁকে নিয়ে দিনে দুবার খাবার পর ৩ থেকে ৪ চা-চামচ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ভি কে পাণ্ডে।চিরতা আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এর একাধিক স্বাস্থ্যগুণের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে এটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ভেষজটি প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যালকালয়েড এবং জ্যান্থোনস, চিরাটানিন, চিরাটল, পামিটিক অ্যাসিডের মতো গ্লাইকোসাইডের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।চিরতা শুধু শরীরের জন্যই নয়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও দারুণ কার্যকরী। এটা স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায্য করে, পুষ্টি জোগায়। তীব্র চাপ এবং উদ্বেগের চিকিৎসা তো করেই, খিঁচুনি নিরাময়েও সাহায্য করে।চিরতা স্বাদে তেতো। তাই এটি করলা বা নিমের মতো রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে। চিরতা ভেজানো জল কিংবা চায়ের সঙ্গে খেলে ত্বকের সমস্যা যেমন – ফুসকুড়ি, চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং লালচে ভাব দূর হয়। কারণ এই ভেষজটির পুষ্টি উপাদান টক্সিন অপসারণ করতে এবং নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতার মতো রক্ত সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাতেও এটা দারুণ কার্যকরী।ভেষজটির অ্যান্টি-পরজীবী বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে রাউন্ডওয়ার্ম এবং ফিতাকৃমি দূর করতেও সাহায্য করে। ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ-ছাড়া ফোলাভাব, পেটের ব্যথা কমায়। বিপাকীয় হার বাড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে আরও সাহায্য করে। চিরতার জল ওজন কমানোর জন্য দারুণ কাজে দেয়। এতে থাকা মিথানল শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় ফলে ফ্যাট জমার সুযোগই তৈরি হয় না।
চিরতা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার জন্যেও ভাল৷ ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস এবং লিভার সংক্রান্ত অনেক রোগ নিরাময় করে চিরতা। চিরতা খুব ভাল একটি লিভার ডিটক্সিফায়ার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চিরতার জল দারুণ কাজের। আর্থ্রাইটিসের জন্যেও ভাল, পেটও পরিষ্কার করে