এদিন পূজা, জপ, ধ্যান, দান, অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত। পুরোটা দিনই কৃষ্ণ চিন্তনে কাটানোর প্রয়াস করা উচিত।যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে মা লক্ষী অক্ষয় হয়ে থাকবে আপনার ঘরে এবং ভগবান তাতে অত্যন্ত প্রীত হন।
অক্ষয় তৃতীয়া তিথি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই তিথিটি পালন করে থাকেন। এই তিথিতে যদি কোন পূণ্য কাজ করা হয়, তা চিরঅক্ষয় থাকে।
কি এমন মাহাত্ম রয়েছে এই তিথিতে ?
অক্ষয় তৃতীয়া তিথি হলো-বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল চিরঅক্ষয় হয়ে থাকে।
এই অক্ষয় তৃতীয়া দিনে যেসকল তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল
এদিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগে সূচনা হয়। একটি যুগের সমাপ্তির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত।
অক্ষয় তৃতীয়াকে অনেকে পরশুরাম জয়ন্তীও বলেন। মনে করা হয়, এই দিন জন্মেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার রথ নির্মাণ শুরু হয় বলে মনে করা হয়। আর সেই কারণেই এই রথ অক্ষয়।
হিন্দু পুরাণ বলছে, এই অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য তিথিতেই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব হয়েছিল। তাই এই দিনে অনেকে তাঁর পুজোও করেন।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই কঠোর তপস্যার মাধ্যমে গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন রাজা ভগীরথ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অসীম ধন ও ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এই কারণে এই দিন বৈভবলক্ষ্মীর পুজো হয়। এই দিন কিছু করলে তা অক্ষয় থাকে বলে মনে করা হয়।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই হিমালয়ের কোলে চার ধামের দরজা খোলা হয়। আর দরজা খুলে দেখা যায় ছ’মাস আগে যে অক্ষয়দ্বীপ জ্বালিয়ে রেখে আসা হয়েছিল তা তখনও জ্বলছে।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হয় বাল্যসখা সুদামার। এক মুঠো চালের বিনিময়ে সুদামার সব দুঃখ – কষ্ট মোচন করেন শ্রীকৃষ্ণ।
অক্ষয় তৃতীয়া তিথিটি একটি তাই আমাদের উচিত এই তিথিটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পালন করা।
অক্ষয় থাকুক সমবৃদ্ধি।