অগ্নিমূল্য বাজার দর, লক্ষ্মীর আরাধনায় পকেটে টান গৃহস্থের
দুর্গাপুজো শেষ হতেই গৃহস্থের বাড়িতে শুরু হয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। পুজোর আগে অত্যাধিক পরিমাণে বৃষ্টির জন্য একাধিক চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে আগে থেকেই ছিল সবজির দাম চড়া। ফলমূল ছাড়াও খিচুড়ি, লুচি, নাড়ু, পায়েসের সঙ্গে পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর আগে তেল, ডাল, সব্জি, ফুল ও দশকর্মার জিনিসের দাম শুনে হিমসিম অবস্থা মধ্যবিত্তদের।শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধু সব্জি নয়, দাম বেড়েছে ফুলেরও।শ্রীরামপুরের মাহেশ শহিদবাজার, টিনবাজার, মানিকতলা বাজার ঘুরে জানা গেল এক কেজি পটলের দাম ৮০ টাকা। বেগুন ১৫০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, কুমড়ো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ একটির দাম ৬০ টাকা। ছোট আকারের একটি চালকুমড়ো বিকোচ্ছে ৪০ টাকায়। ছোট দেশি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কাঁচালঙ্কার দাম ২৫০ টাকা কেজি। ফলে সবজিতে হাত দিলে ছ্যাঁকা খাচ্ছে এর মধ্যবিত্ত থেকে সব ধরনের মানুষেরা।বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই পাইকারি বাজারে সবজি থেকে ফল সব কিছুরই দাম আগে থেকেই চড়া। আর দূর্গা পূজা জগধাত্রী পুজো সব পুজো উপলক্ষে এমনিতেই বাজারে দাম বেশি থাকে।শশা ৬০ টাকা, আপেল ১৫০ টাকা, ন্যাসপাতি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। নারকেলের দাম গত বারের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। একটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। আঙুর, ন্যাসপাতি, আপেল বাইরে থেকে আনতে পরিবহণে খরচ বেড়েছে। সেই বাড়তি খরচ তুলতে ফলের দাম বেশি নিতে হচ্ছে।