আজ, ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। বিশ্বজুড়ে এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালন করা হয়।
এইচআইভি পজ়িটিভ—শব্দটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন বেশিরভাগ মানুষ। ২০২৪-এ দাঁড়িয়েও এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস নিয়ে নানা সামাজিক ছুঁতমার্গ রয়েছে। অনেকের ধারণা এই রোগ ছোঁয়াচে। কিন্তু এইচআইভি ভাইরাস সংক্রামক। মূলত যৌন মিলন, সংক্রামিত ব্যক্তির রক্তের সংস্পর্শে এলে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আবার মা যদি এইচআইভি পজ়িটিভ হন, সে ক্ষেত্রে গর্ভে থাকা সন্তানও এইচআইভি পজ়িটিভ হতে পারে।
এইচআইভি পজ়িটিভ হলে পরবর্তী সময় এইডস হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই এইচআইভি পজ়িটিভের লক্ষণগুলো এড়িয়ে যান অনেক মানুষ। আর এখানেই ঘটে বিপদ। এইচআইভি সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও উপায় নেই। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর জন্য লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভীষণ জরুরি।
কোন কোন লক্ষণ গুলো থাকলে বুঝবেন এইচআইভি পজেটিভ
এইচ আই ভি পজিটিভ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও চান্স থাকে পজিটিভ হবার এবং সে ক্ষেত্রে এইচআইভি পজিটিভ হলে এইডস হতে পারে। এই পজিটিভ এর লক্ষণগুলোকে অনেকে এড়িয়ে যান। আর সেখানেই মারাত্মক বিপদ ঘটে যায়। এইচআইভি সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার কোন উপায় নেই।কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর জন্য লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভীষণ জরুরি।
এইচআইভির প্রাথমিক লক্ষণ
১) জ্বর
২) মাথা ব্যথা
৩) পেশি ও গাঁটে ব্যথা
৪) গলা ব্যথা ও মুখের ভিতর ঘা
৫) ডায়ারিয়া
৬) ওজন কমে যাওয়া
৭) কাশি
৮) রাতে ঘাম হওয়া
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলো খুব বেশি জোরাল হয় না। এই কারণেই অনেকেই অবহেলা করেন এইচআইভির লক্ষণগুলো। এর পরই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হলে লক্ষণগুলো আরও জোরাল হতে থাকে। যেমন জ্বর, ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ওরাল ইস্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
এইচআইভি সংক্রমণ এড়ানোর উপায়
অসুরক্ষিত যৌন মিলনে এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই পুরুষ হোক মহিলা, প্রতিবার সেক্সের সময় কন্ডোম ব্যবহার করা জরুরি। পাশাপাশি একের অধিক সেক্স পার্টনার থাকলেও এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই বিষয়েও সতর্ক থাকুন।
+ There are no comments
Add yours