আটা চাল গমে পোকা ধরে যাচ্ছে। এই টোটকার মাধ্যমে পোকা
ত্রিসীমানায় আসবে না। চাল ডালে পোকা হওয়া প্রতিটি বাড়ির সমান সমস্যা। সবথেকে বাঁচার জন্য আমরা অনেকে অনেক রকম উপায় অবলম্বন করে থাকি। যেমন রোদে চাল দিয়ে থাকি, কিন্তু এত কিছুর পরেও এর কোন সুরাহা মেলেনা। তবে এর থেকে মুক্তির জন্য এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে এর থেকে আমরা সুরাহা পেতে পারি। এই পোকা তাড়াতাড়ি পালাবে। আপনি যখন রান্নাঘরে কোন খাবারের অংশ ফেলে রাখেন তাতে পোকা ধরে এবং সেই পোকা আপনার রান্নার সরঞ্জামে বাসা বাঁধে। আপনি যখন কোন কোটোতে ডাল চাল বা আটা রাখবেন তখন সেই কৌটো অবশ্যই ভালো কোন কাপড়ে শুকনো কাপড় দিয়ে সেই কৌটো পরিষ্কার করে তার মধ্যে সেই জিনিস রাখবেন। না হলে এর ভেতরে ভেজা ভাব পোকা আমদানি করবে। ছাড়াও এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে কিছু শুকনো নিম পাতাও রেখে দিতে পারেন নেমে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকে যা পোকা তাড়ানোর ক্ষেত্রে উত্তম কার্যকারী হয়ে থাকে। যদি আটাতেও পোকা লেগে থাকে তাহলে তার মধ্যে কিছু শুকনো লাল লঙ্কা দিয়ে দিন দেখবেন আটার ধারে কাছে আর পোকা আসছে না। এছাড়াও আপনি এখানে শুকনো নিম পাতারও ব্যবহার করতে পারেন এর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুনে পোকা পালাবে।লবঙ্গের ব্যবহারও চালকে পোকা থেকে বাঁচাতে খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তীব্র গন্ধ পোকামাকড়কে দূরে রাখে। চালের পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রেখে আপনি পোকা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। লবঙ্গ শুধু চালকে সুরক্ষিত রাখে না বরং এর গন্ধও বাড়ায়।চালের ডিব্বায় তেজপাতা রাখুন, এতে পোকামাকড় দূরে থাকবে এবং চাল সারা বছর সুরক্ষিত থাকবে। রসুনও চালকে পোকা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়া সন্দক লবণ একটি সুতির কাপড়ে বেঁধে চাল ডাল গমের কৌটোতে রেখে দিন তাহলেও ভালো ফল পাবেন। এয়ার টাইট কন্টেনার ব্যবহার করুন মাকড়ের হাত থেকে রক্ষাও করবে ও চাল বহুদিন পর্যন্ত সতেজ থাকবে কারণ এর ভেতরে বায়ু প্রবেশ করতে পারবে না ফলে আদ্রতা থেকে রক্ষা পেলে পোকামাকড়েরও প্রাদুর্ভাব সেরকম হবে না। উপরের উপায়গুলো মেনে চললে আপনি চালকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাজা এবং পোকামাকড় মুক্ত রাখতে পারবেন। এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো শুধু কার্যকরই নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ।
+ There are no comments
Add yours