আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নয়া পথ, বিচারের ‘দাবি’তে সোচ্চার লগ্নজিতা
আরজি কর-এর ঘটনায় পথে নেমেছিলেন আট থেকে আশি সকলেই। একটাই দাবি প্রতিটা মানুষের, বিচার চাই। পঞ্চাশ দিন কেটে গেলেও এখনও মেলেনি উত্তর। সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতাকে দীর্ঘদিন ধরেই দেখা গিয়েছে এই প্রতিবাদে সামিল হতে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে। তাই যতক্ষণ না অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে, এই আন্দোলন যাতে চলতে থাকে, সে জন্য একেবারে অন্যরকম ভাবনা শিল্পীর।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োয় লগ্নজিতা বলেছেন, ‘অভয়ার বিচার চেয়ে যে লড়াই জুনিয়র চিকিৎসক-সহ সাধারণ মানুষেরা চালিয়েছে তার কোনও জবাব নেই। দেশ-বিদেশের সমস্ত জায়গা থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে। তার জন্য আমরা সকলে কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয় উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলার সময় এখন আর নেই। এখন উই ডিমান্ড জাস্টিস বলার সময় এসেছে।’দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সেখানে বেশকিছু চিকিৎসক চিকিৎসা পরিষেবায় গিয়েছেন। তাই লগ্নজিতার কথায়, অনেকের মনে হতে পারে আন্দোলনটা ঝিমিয়ে পড়েছে। কিন্তু, এটা কোনও ভাবেই ভেবে নেওয়ার কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। একইসঙ্গে যাতে মানুষের মনে এই ধারণা গেঁথে না যায়, তাই কিছু নতুনত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছেন লগ্নজিতা। যা একেবারে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে সকলে পালন করতে পারে সহজে। কী কী পরিকল্পনার কথা জানালেন শিল্পী? লগ্নজিতার কথায়, ‘বাড়ির সামনে, ঘরের ভিতরে, গাড়ির কাচে, অফিসের ডেস্কে এবং আরও যেখানে বিষয়গুলো তুলে ধরা সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে সেখানে আমরা “WE DEMAND JUSTICE” লিখব। সাদা-কালো-রঙিন যে কোনও ভাবে লিখে রাখব ততদিন, যতদিন না আমার-আপনার ডিম্যান্ড পূরণ হবে। শুধু নিজেকে নয়, অন্য সকলে যারা আমাদের স্পেসে আসবে, তাদেরও যাতে এই লেখা মনে করিয়ে দিতে পারে আমরা বিচার চাই।’
লগ্নজিতা আরো বলেন, তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে একটা অনবদ্য আইডিয়া। যাঁরা একতলা বাড়িতে থাকেন, সেইসব বাড়ির মা ঠাকুমারা যদি পুরনো শাড়িতে উই ওয়ান্ট জাস্টিস কথাটা লিখে বাড়ির বারান্দায় মেলে রাখেন, তাহলে সেটা একেবারে অন্যরকম পাওয়া হবে। এমনকী, তিনি নিজের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে একটা অন্যরকম বিষয় তুলে ধরতে চান। ‘আমি নিজেও শ্বশুরবাড়ি বা মামারবাড়ির বাইরে অথবা আমার যে স্কুটিটা রয়েছে সেটায় চেষ্টা করব যতটুকু করা যায়। এরকম ভাবে যদি একটু একটু করে গোটা কলকাতাটা আমরা মুড়িয়ে ফেলতে পারি, তাহলে কেউ আর ভাববে না আন্দোলনটা ঝিমিয়ে পড়েছে।