আরজিকরের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবতী চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় ধৃত যুবক একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। আরজি কর কান্ডে তদন্তে নেমে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, ওই মৃত যুবতী চিকিৎসককের দু’চোখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। আঙুল, হাত,পা, পেট-সহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। তদন্তকারী সংস্থার লাগাতার জেরায় শেষে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় স্বীকার করে নেয় সে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে যুবতী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করেছে।
তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁর এই কর্মকান্ডে কোনও অনুতাপবোধ নেই অভিযুক্তের মধ্যে। উল্টে জেরার সময় ওই ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার বলেন, ‘ফাঁসি দিলে দিন’। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তকারীরা তদন্তে নেমে সিসি ফুটেজে দেখতে পায়, শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্তকে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ার কারণে হাসপাতালে ঢুকতে বা বেরতে তাঁর সমস্যা হয়নি। এরপর তিনি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট হাসপাতালের ভিতরে ছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত হাসপাতালে ঢোকে। তার পর বেরিয়ে মদ খান। পরে মত্ত অবস্থায় ভোর ৪টে নাগাদ হাসপাতালে ঢোকেন।
হাসপাতালে প্রবেশের সময়ে তাঁর গলায় একটি ব্লুটুথ হেডফোন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বেরানোর সময় সেই হেডফোন তাঁর গলায় ছিলনা। এই হেডফোনের সূত্র ধরে এবং সিসিফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলুশ। এছাড়াও ধৃতের মোবাইলে রাখা ছিল পর্ণোগ্রাফির বেশ কিছু ভিডিও।
এইদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আন্দোলনকারীদের এই ক্ষোভ যুক্তি সঙ্গত। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না-রাখতে পারলে যে কোনও এজেন্সিকে দিয়ে এর তদন্ত করাতে পারেন। এইদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি হাসপাতালে জুনিয়ার চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে।