উচ্চশিক্ষার নতুন নীতি নিয়ে বিতর্ক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তীব্র প্রতিবাদ
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার খসড়া নীতি প্রকাশ করেছে, যেখানে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই নীতির বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একে শিক্ষার বেসরকারিকরণের চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বেসরকারিকরণের অভিযোগ: শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ইউজিসি-র এই খসড়া নীতির লক্ষ্য উচ্চশিক্ষাকে ব্যয়বহুল করে সাধারণ এবং পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য অপ্রাপ্য করে তোলা। তাঁর অভিযোগ, এই পরিবর্তন শিক্ষাকে ধীরে ধীরে বেসরকারি ক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দেবে। শিক্ষার উদ্দেশ্যে আঘাত: ব্রাত্য বসু মনে করেন, এই নীতি কার্যকর হলে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়ারা ন্যায্য শিক্ষার সুযোগ হারাবে। এর ফলে শিক্ষার অভাবে নতুন প্রজন্ম যেকোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শিখবে না। বিদেশি মডেলের সমালোচনা: শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, “বিদেশি অনুকরণে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হবে, কিন্তু অর্থের জোগান আসবে কোথা থেকে?” তাঁর মতে, এটি কেবলমাত্র ধনী পরিবারের সন্তানদের জন্য সুবিধাজনক হবে। এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু ইউজিসি-র নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে পোস্টে লিখেছেন, “ওরা যত বেশি জানে, তত কম মানে।” নীতিটি ‘অর্থনৈতিক বৈষম্য’ বৃদ্ধি করতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বছরে দুইবার ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য বেশ কিছু মৌলিক বদল আনার কথা বলা হয়েছে। তবে, নীতিতে অর্থের উৎস বা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। রাজ্যের অভিযোগ: কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার গৈরিকীকরণ এবং বেসরকারিকরণ করছে। কেন্দ্রের পাল্টা অভিযোগ: রাজ্যের শিক্ষানীতি উন্নত নয়। সমাজের উদ্বেগ: ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নীতির বাস্তবায়ন আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধি করতে পারে। সারমর্ম: UGC-র প্রস্তাবিত খসড়া নীতি উচ্চশিক্ষার পরিবর্তন আনতে চাইলেও, তা নিয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শিক্ষার বেসরকারিকরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিবাদ এই নীতিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই নীতির কার্যকর হওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে
+ There are no comments
Add yours