উত্তপ্ত মণিপুরে পৌঁছল আরও CAPF, অশান্তি সামলাতে ইন্টারনেটে কোপ
উত্তপ্ত মণিপুরে পৌঁছল আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবারই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছেছে আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CAPF)। পিটিআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই বাহিনীকে স্পর্শকাতর এবং প্রান্তিক এলাকায় মোতায়েন করা হবে। এদের মধ্যে ৪ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং বাকি ৪ কোম্পানি বিএসএফ-এর। সিআরপিএফ-এর চার কোম্পানির মধ্যে এক কোম্পানি মহিলা ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, হিংসায় জ্বলতে থাকা মণিপুরে নতুন করে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছিল মণিপুরে।
ফের নতুন করে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে নতুন করে শুরু হয়েছে মেইতেই-কুকিদের সংঘর্ষ। প্রথমে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। তারপরে ফের আরও এক মহিলা অত্যাচারের শিকার হয়। ১১ নভেম্বর জিরিবামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১০ জন কুকি-জো জঙ্গি মারা যান। সেই সময়েই ওখানে মেইতেই শিবির থেকে তিন জন মহিলা ও তিন জন শিশু অপহৃত হয়ে যায়। পরে ওই ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই আরও বেড়ে যায় হিংসার আগুন।
পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই সমতলের বেশ কিছু থানা এলাকায় নচুন করে আফস্পা বহাল করেছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে সে রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ১৬ নভেম্বর, মণিপুরের এক বিধায়কের বাড়িতে হামলা করে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের নগদ এবং গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হিংসার কারণে যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁদের জন্য খাবার, শীতের কাপড় রাখা ছিল বিধায়কের বাড়িতে। সেই জিনিসপত্রও লুট হয়ে গিয়েছে। এর আগে একাধিক কংগ্রেস ও বিজেপির বিধায়কের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ১৬ নভেম্বর সন্ধেয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য, বুধবারই মণিপুর সরকার সাতটি জেলায় আরও ৩ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ভুয়ো তথ্য এবং গুজবের কারণে যাতে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সরকার। পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, থৌবল, কাকচিং, কাঙ্গপোকপি এবং চূড়াচন্দ্রপুর এলাকার জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।