উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে: নবীকরণযোগ্য শক্তি গ্রহণে নতুন দিশা
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NFR) তার কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস এবং নবীকরণযোগ্য শক্তি গ্রহণের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১২৭৭ কেডব্লিউপি সৌরশক্তি চালু করে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। এই পদক্ষেপ ভারতের রেল খাতের সবুজায়নের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
*সৌরশক্তি উৎপাদনে মূল অবদানকারী ডিভিশনসমূহ:*
– *রঙিয়া ডিভিশন:* ৬৭২ কেডব্লিউপি
– *লামডিং ডিভিশন:* ৫৪৫ কেডব্লিউপি
– *আলিপুরদুয়ার ডিভিশন:* ৬০ কেডব্লিউপি
*মোট সৌরশক্তি সক্ষমতা:*
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সৌরশক্তি ক্ষমতা ৭৩৯৯ কেডব্লিউপি-এ পৌঁছেছে।
*প্রধান অবদানকারীরা:*
– লামডিং ডিভিশন: ২৮৮২ কেডব্লিউপি
– রঙিয়া ডিভিশন: ১১৪৬ কেডব্লিউপি
– কাটিহার ডিভিশন: ৬১০ কেডব্লিউপি
– আলিপুরদুয়ার ডিভিশন: ৪৪১ কেডব্লিউপি
– তিনসুকিয়া ডিভিশন: ১৯০ কেডব্লিউপি
– নিউ বঙাইগাঁও এবং ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপ: ১০০০ কেডব্লিউপি
*পরিকল্পনা ও সম্প্রসারণ:*
বর্তমানে অতিরিক্ত ৩৯৩৫ কেডব্লিউপি সৌর প্রকল্পের কাজ চলছে এবং ৪০,৪১১ কেডব্লিউপি সৌর প্রকল্পের জন্য টেন্ডার জারি করা হয়েছে।
*উদ্দেশ্য এবং প্রভাব:*
– বিরল প্রথাগত শক্তির উপর নির্ভরতা কমানো
– পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি দায়বদ্ধতা
– নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব এবং দক্ষ পরিবহন পরিষেবা নিশ্চিত করা
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এই উদ্যোগ ভারতের স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং সবুজ শক্তি গ্রহণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। “গো গ্রিন” পদক্ষেপের মাধ্যমে রেলওয়ে শুধু কার্বন নির্গমন কমাচ্ছে না, বরং পরিবেশ বান্ধব পরিবহন পরিষেবা প্রদানের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থেকেছে।
+ There are no comments
Add yours